নয়া দিল্লি: কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’, অর্থাৎ বাড়ি থেকে কাজ করায় অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে ভারতবাসী। সোমবার, সেই ওয়ার্ক ফ্রম হোম-এর অভ্যাসে ফিরতে বাধ্য হল দিল্লি রাজধানী এলাকা এবং সংলগ্ন গুরুগ্রাম। এদিন সকালে দিল্লি রাজধানী এলাকা দিয়ে প্রায় ৯০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যায়। ঝড়ে বহু জায়গায় গাছ পড়ে যায় এবং জল জমেও বহু জায়গায় পরিবহণ ব্যহত হয়। সপ্তাহের শুরুর দিনে, গাড়ির লম্বা লাইন জমে যায়। এর কিছু পরই, গুরুগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে তাদের কর্মীদের ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এর সুবিধা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। বৃষ্টির জেরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি ভেঙে পড়ে ৮ জন আহত হয়েছেন।
গুরুগ্রামের ডেপুটি কমিশনার নিশান্ত কুমার যাদব বলেছেন, ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এর সুপারিশ শুধুমাত্র এদিনের জন্য়ই দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, দিল্লি-গুরুগ্রাম এলাকায় যে সব বেসরকারি অফিস রয়েছে, তাদের যত বেশি সম্ভব কর্মীদের ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এর সুবিধা দিতে বা হয়েছে। শিল্প কারখানা কিংবা উৎপাদন ক্ষেত্রের কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করা সম্ভব নয়। কিন্তু, যাদের পক্ষে ওয়ার্ক ফ্রম হোম সম্ভব, তাদের সেই সুবিধা পাওয়া উচিত। তিনি আরও জানিয়েছেন, গুরুগ্রামের বহু গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ট্রাফিকের ব্যাপক চাপ তৈরি হয়েছে। অবস্থা সামাল দিতে ২,৫০০ জন অতিরিক্ত পুলিশ কর্মীকে মোতায়েন করা হয়েছে।
Another video-
India- Heavy rain, thunderstorms lash parts of #Delhi-NCR; flight operations affected.#DelhiWeather #DelhiRains #India #Thunderstorms #storm pic.twitter.com/KMTPTOypkO
— Chaudhary Parvez (@ChaudharyParvez) May 23, 2022
পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (ট্রাফিক) রবীন্দ্র কুমার তোমর জানিয়েছেন, তাঁদের বিভিন্ন দল দিল্লি ও গুরুগ্রামের বিভিন্ন রাস্তা থেকে পাম্প করে জল সরাচ্ছে, উপরে যাওয়া গাছ পরিষ্কার করছে। তবে, তারপরও বহু জায়গাতেই এখনও দীর্ঘ গাড়ির লাইন জমে রয়েছে। ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকেও ওয়ার্ক ফ্রম হোম-এর সুপারিশ করা হয়েছে।
@Gurugram
ये है #DelhiNCR #Gurugram
पहले दिन #वर्षा होने के बाद ये हाल है…..जँहा पे India की टॉप #MNC & Pvt. Ltd. #Companies है।#Rain pic.twitter.com/IFOtfvNpwj— Rishikesh Thakur (@rishikesh1606) May 23, 2022
এদিকে, একটানা বষ্টির জেরে জাওয়ালপুরি, গোকালপুরি, শঙ্কর রোড এবং মোতিনগরে বেশ কয়েকটি বাড়ির অংশ ভেঙে পড়েছে। সব মিলিয়ে ৮ জন আহত হয়েছেন। জাওয়ালপুরি এলাকার এক ভেঙে পড়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপ থেকে একই পরিবারের তিনজনকে উদ্ধার করে সঞ্জয় গান্ধী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পশ্চিম দিল্লির মোতিনগর এলাকাতেও বাড়ি ভেঙে তিনজন আহত হয়েছেন। আচার্য ভিক্ষু হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। মধ্য দিল্লির শঙ্কর রোড এলাকায় বাড়ি ভেঙে আহত হন দুিই ব্যক্তি। তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে। পাশাপাশি গাছ ভেঙে পড়ে ক্ষতি হয়েছে অন্তত ৮টি যানবাহনের।
এদিন সকালের ঝড়-বৃষ্টিতে দিল্লি রাজধানী এলাকায় এক ধাক্কায় তাপমাত্রাও অনেকটাই কমে এসেছে। মাত্র ১ ঘন্টার মধ্যে প্রায় ১০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড নেমে যায় তাপমাত্রা। দিল্লির মৌসম ভবন থেকে জানানো হয়েছে, এদিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মাত্র ১৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, এদিনের ঝড়ই রাজধানী এলাকায় এই মরসুমের প্রথম মাঝারি তীব্রতার ঝড়। তারা আরও বলেছে, ‘সাধারণত মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে ১২ থেকে ১৪ দিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়-বৃষ্টি হয়ে থাকে। কিন্তু, চলতি মরসুমে মাত্র ৪ থেকে ৫টি বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড় হয়েছে, তাও বৃষ্টি সেভাবে হয়নি বললেই চলে’।