নয়া দিল্লি: মঙ্গলবার সাত সকালে রক্তারক্তি কাণ্ডে বাধে তিহাড় জেলে। সেলের ভিতরেই খুন হয় গ্য়াংস্টার টিল্লু তাজপুরিয়া। তারপরই তিহাড় জেলে বন্দিদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই ঘটনায় তিহাড় জেলের আটজন কর্মীকে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। এবার ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা আর না ঘটে তাই ক্যুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে।
জেলের এক বর্ষীয়ান জেল আধিকারিক বলেন, জেলে জরুরি পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা কর্মীদের অবহিত করার জন্য সাইরেনের ব্যবস্থা থাকে। তবে তাজপুরিয়ার উপর হামলার সময় সেই সাইরেন কাজ করছিল না। কেন সাইরেন কাজ করছিল না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এরপরই শনিবার ক্য়ুইক রেসপন্স টিম গঠন করল তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ। আধিকারিক জানিয়েছেন, কিউআরটিগুলিতে কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনী (সিআরপিএফ) এবং ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ (আইটিবিপি) এর কর্মীদের পাশাপাশি দিল্লি কারাগারের কর্মীরাও থাকবেন। তিনি বলেছেন, “এই দলগুলি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলিতে মোতায়েন করা হবে। যাতে তারা সময়মতো তারা পদক্ষেপ করতে পারে এবং বন্দিদের মধ্যে কোনও লড়াই শুরু হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আগে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে।”
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সাত সকালেই টিল্লু তাজপুরিয়ার উপর হামলা চালায় তাঁর প্রতিপক্ষ যোগেশ টুন্ডা ও টুন্ডার সহকারীরা। তিহাড় জেলের ৯ নম্বর সেলে বন্দি ছিল গ্যাংস্টার তিলু রাজপুরিয়া। আর তাঁর ঠিক পাশের সেল ৮ নম্বরেই ছিল দুষ্কৃতী যোগেশ টুন্ডা। লোহার গ্রিল টপকেই রড দিয়ে টিল্লুর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে যোগেশ ও তাঁর ৩ সহকারীদের বিরুদ্ধে। ৯২ বার টিল্লুকে আঘাত করা হয়েছে বলে জানা যায়। তারপরই দীনদয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে টিল্লুকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনার পরই তিহাড় জেলের আট কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়। এই ঘটনার পরই চার অভিযুক্ত পৃথক জেলে স্থানান্তর করা হয়েছে।