নয়া দিল্লি: “আমরা নিরাশ নই, আশা নিয়ে যাচ্ছি।” ভবানীপুর-সহ ৭ কেন্দ্রে দ্রুত উপনির্বানের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের পর এমনই মন্তব্য করল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার একঝাঁক তৃণমূল সাংসদ এই মর্মে নির্বাচন কমিশনের সদর দফতরে গিয়েছিলেন। সেখানে ঘণ্টাখানেকের বৈঠক শেষে বেরিয়ে এসে তাঁরা জানান, যে আলোচনা হয়েছে তা ‘ফলপ্রসূ’। কমিশনের তরফে তৃণমূলের দাবি-দাওয়া শোনা হয়েছে। একই সঙ্গে পালটা কিছু সুবিধা-অসুবিধার কথাও উল্লেখ করেছে কমিশন। তবে সবশেষে আইন মেনে সময়ের মধ্যেই উপনির্বাচনের আয়োজন করা হবে বলে আশা করছেন রাজ্যের শাসক নেতৃত্ব।
ভোট চলাকালীন রাজ্যে কোভিড পজিটিভিটির হার ছিল ৩০ শতাংশের কাছাকাছি। বর্তমানে যা নেমে এসেছে ১.৫ শতাংশে। ফলে এই পরিস্থিতিতে মাত্র ৭ কেন্দ্রে ভোটের আয়োজনে কোনও সমস্যা দেখছে না শাসক শিবির। এ দিন কমিশনের কাছে দরবার করে মূলত এই যুক্তিই খাড়া করা হয়। সূত্রের খবর, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র-সহ তাঁর গোটা টিমের সঙ্গে আলোচনা করেন তৃণমূল নেতারা। বেরিয়ে সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “রাজ্যে কোভিড সংক্রমণ যে তলানিতে এসে ঠেকেছে সেটা আমরা তথ্য দিয়ে বলার চেষ্টা করেছি। আমরা বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে রাজ্যের মানুষ ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচন চাইছেন। এটা করতে প্রচারের জন্য যদি অল্প সময় ধরে রাখা হয় তাতেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও আপত্তি নেই।”
দিল্লিতে হওয়া আজকের বৈঠকের পর খানিকটা হলেও আশাবাদী শোনায় তৃণমূলকে। উত্তর কলকাতার সাংসদ আরও বলেন, “খোদ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার যেভাবে আমাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন, উনি নিজের মতামত প্রকাশ করে সুবিধা অসুবিধার কথা জানিয়েছেন, তাতে শেষ পর্যন্ত আমরা আশাবাদী মন নিয়েই যাচ্ছি। আমরা নিরাশ নই আজকের আলোচনায়।” এ দিনের বৈঠকে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জেলাভিত্তিক সংক্রমণের রিপোর্ট দেখে তবেই কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসা হবে। পশ্চিমবঙ্গের ৭ টি আসনের পাশাপাশি গোটা দেশে মোট ২০ টি আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সব ক্ষেত্রেই জেলাগুলির রিপোর্ট খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। আরও পড়ুন: ‘শাসকের ইচ্ছাই আইন’, মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট আদালতে, মমতা বললেন ‘বদনাম করার চেষ্টা’