Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Anubrata Mondal: ঈশ্বরের কাছে মেয়ের জামিনের আবেদন অনুব্রতর

Anubrata Mondal On Sukanya Mondal's Bail: আজ দিল্লির রাউস অ্য়াভিনিউ আদালতে পেশ করা হয় গরু পাচার মামলায় অভিযুক্তদের। আর আজ শুনানি শেষে তিনি সাংবাদিকের প্রশ্নে, ঈশ্বরের কাছে মেয়ের জামিনের আবেদন জানান অনুব্রত।

Anubrata Mondal: ঈশ্বরের কাছে মেয়ের জামিনের আবেদন অনুব্রতর
অনুব্রতর সঙ্গে সুকন্যা মণ্ডল (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 16, 2023 | 12:51 AM

নয়া দিল্লি: গরু পাচার মামলায় অনেকদিন আগেই তিহাড়ে ঠাঁই হয়েছে বীরভূমের বাঘ অনুব্রত মণ্ডলের। সম্প্রতি গরু পাচার মামলায় অনুব্রত কন্যাকেও গ্রেফতার করে ইডি। তদন্তে অসহযোগিতা ও ইডি আধিকারিকের প্রশ্নে স্পষ্ট জবাব না দেওয়ার কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর তাঁরও সেই জায়গা হয় তিহাড়েই। একই জেলে কারাবন্দি বাবা ও মেয়ে। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে একাধিকবার নিজের জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত। এবার নিজের মেয়ের জন্যও জামিনের অনুরোধ করলেন তিনি। এবার কোর্টের বিচারপতির কাছে নয়। স্বয়ং ঈশ্বরের কাছে মেয়ের জামিনের আবেদন বাবার।

আজ গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল সহ সকল অভিযুক্তদের দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে তোলা হয়। সেখানে তিনি জানান, তাঁর শরীর ভাল নেই। বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট রয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ১২ জুলাই। এদিকে শুনানি শেষে কোর্টরুম থেকে বেরিয়ে আসার সময় সাংবাদিকের প্রশ্নে বলেন, “ঈশ্বর যেন মেয়েটাকে জামিন দিয়ে দেয়।” এদিকে সুকন্যার সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, বাবা-মেয়ের যেমন কথা হয়, তেমনি হয়েছে। অনেকদিন মেয়ের সঙ্গে দেখা হয়েছে বলেন অনুব্রতও।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রয়েছেন সুকন্যা মণ্ডল। আগামী ১২ মে তাঁকে ফের রাউস আদালতে পেশ করা হবে। ইতিমধ্যেই জামিনের আবেদন করেছেন সুকন্যা। গরু পাচারের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে দাবি করে জামিনের আবেদন জানান তিনি। সিবিআই-র বিশেষ আদালতে বিচারক রঘুবীর সিংয়ের বেঞ্চেই সুকন্যার জামিনের আবেদন জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী। আগামী ১২ মে, সুকন্যার ১৪ দিনের জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষের দিনেই তাঁর জামিনের আবেদনের মামলারও শুনানি হওয়ার কথা। ১২ মে শুনানির আগেই ঈশ্বরের কাছে মেয়ের জামিনের আবেদন জানালেন অনুব্রত।

প্রসঙ্গত, এক জেলে থাকলেও সেল আলাদা বাবা-মেয়ের। তিহাড় জেলের ৬ নম্বর মহিলা সেলে রয়েছেন সুকন্যা। আর কেষ্ট রয়েছেন তার পরের ৭ নম্বর সেলে। একই জেলে থাকলেও গ্রেফতারির পর থেকে এতদিন পর্যন্ত কেষ্ট বা সুকন্যার দেখা বা কথা কিছুই হয়নি। শেষে গত শনিবার বাবা-মেয়ের দেখা হয় তিহাড়ে। অল্প কিছু সময়ের জন্য সাক্ষাৎ হয় তাঁদের। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, মেয়ে সুকন্যাকে দেখে আবেগঘন হয়ে পড়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। আর আজ মেয়ের ‘মুক্তির’ কামনা করলেন।