নয়া দিল্লি: মণিপুর ইস্যু নিয়ে কেন্দ্রকে তুলোধনা করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সোমবার সংসদের বাইরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মণিপুরে (Manipur) মহিলাদের বিবস্ত্র করে ঘোরানো ও ধর্ষণের ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেন, “বাংলার সঙ্গে মণিপুরের তুলনা করা চলে না। আমাদের রাজ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়নি। মণিপুরে তো ইন্টারনেটও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।”
এ দিন সকালে দিল্লিতে সংসদ ভবনের চত্বরে দাঁড়িয়ে লোকসভার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মণিপুরে যা হচ্ছে, তা নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে অনুরোধ করছি সরকারকে। মণিপুরের যে দৃশ্যগুলি আমাদের সামনে উঠে এসেছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক ও দুঃখজনক।”
কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে অভিযোগ তুলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আপনারা ১৫০০ কোটি টাকা খরচ করে সংসদ ভবন তৈরি করেছেন। আপনারা ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রাখেন, আবাস যোজনার টাকা আটকে রাখেন। এই বিজেপি সরকারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেই বলেছিলেন যে ২০২২ সালের শেষের মধ্য়ে দেশে এমন একটিও পরিবার থাকবে না, যাদের মাথার উপরে পাকা ছাদ থাকবে না। আজ আমরা ২০২৩ সালের জুলাই মাসে দাঁড়িয়ে রয়েছি। এখনও পশ্চিমবঙ্গের ২০ লক্ষ মানুষের আবাস যোজনার টাকা আটকে রাখা হয়েছে। ১৫০০ কোটি টাকা দিয়ে সংসদ ভবন তৈরি করেছেন, কিন্তু সেই সদনে আপনারা আলোচনাই চান না।”
#WATCH | TMC MP Abhishek Banerjee, says “The visuals that we have seen are extremely disturbing. You (PM Modi) do not want discussion in the Parliament… The Govt is diverting the attention. The double engine govt is incompetent” pic.twitter.com/MjVmPA4ijr
— ANI (@ANI) July 24, 2023
তিনি আরও বলেন, “মণিপুর থেকে নজর ঘোরানোর প্রচেষ্টা চলছে। রাজস্থান, ছত্তীসগঢ় বা পশ্চিমবঙ্গের উদাহরণ টানা হচ্ছে। আমি একটাই কথা বলব, পশ্চিমবঙ্গে তিন মাস ধরে ইন্টারনেট চলছে। তাই আপনাদের যদি মনে হয় পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় মণিপুরের পরিস্থিতি ভাল, তাহলে মণিপুরে ইন্টারনেট চালু করুন। সরকারকে কে বারণ করছে? ওখানে তো ডবল ইঞ্জিনের সরকার। বিরোধী দল শাসিত রাজ্যে ইন্টারনেট চলছে আর ডবল ইঞ্জিনের সরকারে ইন্টারনেট বন্ধ। এতেই প্রমাণিত হয় বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার কতটা ব্যর্থ।”
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২১ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশন। কিন্তু ওই দিনই তৃণমূলের শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান থাকায় অধিবেশনে যোগ দিতে পারেননি অধিকাংশ সাংসদরাই।