নয়া দিল্লি : গত শনিবার হাওড়ায় ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস বিধায়কদের গাড়ি থেকে বিপুল টাকা উদ্ধার হয়। সেই ঘটনায় তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি। সেই ঘটনার তদন্তের জন্য দিল্লিতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ে সিআইডি। এবার এই প্রসঙ্গ নিয়ে রাজ্যসভায় সরব হলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ দোলা সেন। তাঁর অভিযোগ, তল্লাশি অভিযানে বাধা দিয়ে বেআইনি কার্যকলাপে লিপ্ত হয়েছে দিল্লি পুলিশ। তিনি এদিন সংসদে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর কাছে এই নিয়ে জবাবও চান।
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন সংসদে এদিন বলেছেন, ‘ঝাড়খণ্ড বিধায়কদের গাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় সিআইডি টিম তদন্তের জন্য দিল্লিতে আসে। আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও তাদের তল্লাশি করতে বাধা দেওয়া হয়েছে। তাদের বাধা দিয়ে দিল্লি পুলিশ বেআইনি কার্যকলাপে লিপ্ত হয়েছে। আমি এর জবাব চাই।’ তৃণমূল সাংসদের এই প্রশ্ন হই হট্টগোল দেখা যায় রাজ্যসভায়। এই ইস্যুকে সংসদে তুলে রাজনৈতিক রং চড়াল তৃণমূল কংগ্রেস। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
.@Dolasen7‘s #SupplementaryQuestion on @DelhiPolice unlawfully restraining @CIDWestBengal from pursuing investigation in the #Jharkhand MLAs case#RajyaSabha #ParliamentOfIndia pic.twitter.com/88p1Pj3gW9
— AITC in Parliament (@AITC_Parliament) August 3, 2022
প্রসঙ্গত, গত শনিবার হাওড়ায় ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস তিন বিধায়কের গাড়ি থেকে প্রায় ৪৯ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়। তাঁদের দাবি, আদিবাসীদের উপহার দেওয়ার জন্য কলকাতার বড়বাজার থেকে শাড়ি কিনতে এসেছিলেন তাঁরা। তবে শাড়ি কেনার জন্য ৪৯ লক্ষ টাকার প্রয়োজন বলে প্রশ্ন ওঠে। এই টাকা উদ্ধারের পিছনে বিজেপির ‘অপারেশন লোটাস’ প্ল্যানের অভিযোগ তোলেন কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী সহ একাধিক কংগ্রেস নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই তিন কংগ্রেস বিধায়ককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই টাকা উদ্ধার নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। সেই সূত্রেই বুধবার সকালে মহারাষ্ট্রের এক নেতা সিদ্ধার্থ মজুমদারের বাড়িতে তল্লাশির জন্য দিল্লি যায় রাজ্যের একটি সিআইডি টিম। কিন্তু দিল্লি পুলিশ তাদের বাধা দেয় বলে অভিযোগ। সেই টিমকে থানায় বসিয়ে রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। এদিকে সিআইডি দাবি করেছে, তাদের কাছে তল্লাশি চালানোর জন্য ওয়ারেন্ট থাকলেও তাদের বাধা দেওয়া হয়েছে। সিআইডি দাবি করেছে, আদালত অবমাননা করেছে দিল্লি পুলিশ। তবে এদিকে দিল্লি পুলিশ এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যে, তাঁরা কাউকে থামাননি। তদন্তকারী আধিকারিক উপস্থিত নেই। তাঁরা ওয়ারেন্ট খতিয়ে দেখছেন বলে জানিয়েছেন।