নয়া দিল্লি: বার্কের প্রাক্তন সিইও পার্থ দাশগুপ্তের সঙ্গে অর্ণব গোস্বামীর হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথন ফাঁসে নয়া মোড় নিয়েছে টিআরপি দুর্নীতি কাণ্ডে। তার সঙ্গে মোদী সরকারকে কোণঠাসা করার জন্য আরও একটু অক্সিজেন পেলেন বিরোধীরাও। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র নিশানা করে বলেন, “হোয়াটসঅ্যাপের ‘স্ন্যাপশট’ স্পষ্ট করে দিচ্ছে বালাকোট স্ট্রাইক এবং ৩৭০ সম্পর্কিত গোপন তথ্য আগাম টেলিভিশন সঞ্চালকের কাছে ছিল। দেশের এটা জানা প্রয়োজন। এ প্রশ্নের উত্তর দিতে ভয় পাচ্ছেন মোদী-শাহ?”
টিআরপি দুর্নীতি কাণ্ডে মুম্বই পুলিসের অতিরিক্ত চার্জশিটে জমা পড়েছে পার্থ দাশগুপ্ত ও অর্ণব গোস্বামীর একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ‘স্ক্রিনশট’। মুম্বই পুলিস দাবি করেছে, ওই কথোপকথনে জানা গিয়েছে, আগেই থেকেই বালাকোট হামলা, ৩৭০-সহ একাধিক স্পর্শকাতর খবর জানতেন রিপাবলিক টিভির কর্ণধার অর্ণব গোস্বামী। ওই চ্যাটে অর্ণব দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অনেক খবর আগাম তাঁর কাছে ছিল। বিজেপির নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ থাকার সুবাদেই এই সব খবর তাঁর হাতে এসে পৌঁছয় বলে মুম্বই পুলিসের অনুমান।
আরও পড়ুন- করোনা টিকাকরণের প্রথম দিন কোন রাজ্যে কত মানুষ পেলেন ভ্যাকসিন?
এ প্রসঙ্গে কংগ্রেসের অভিযোগ, সেনার মতো জায়গার গোপনীয় তথ্য অর্ণবের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে। তিনি তো সরকারি মুখপাত্রের থেকেও অনেক কিছু। উল্লেখ্য, রিপাবলিক টিভিকে এক নম্বর করার পেছনে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে অর্ণব গোস্বামীর বিরুদ্ধে। রেটিং সংস্থা বিএআরসি-র প্রাক্তন প্রধান পার্থ দাশগুপ্তের সঙ্গে তাঁর আর্থিক লেনদেন হয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই পার্থকে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিস। তার আগে ওই সংস্থার প্রাক্তন চিফ অপারেটিং অফিসার রোমিল রামগড়িয়াকে গ্রেফতার করা হয়।