নয়া দিল্লি: বিশ্বের বৃহত্তম করোনা টিকাকরণ শুরু হয়েছে একদিন আগেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে শুক্রবার টিকাকরণ অভিযান শুরু হয়েছে ভারতে। দেশের ৩ হাজার ৩৫২ টি সেশান সাইটে টিকা (COVID Vaccine) পেয়েছেন ১ লক্ষ ৯১ হাজার ১৮১ জন। টিকাকরণ কর্মসূচিতে কাজ করেছেন ১৬ হাজার ৭৫৫ জন। প্রথম পর্বে টিকা পাওয়ার কথা ছিল স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রথম সারির যোদ্ধাদের। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ভ্যাকসিন নিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। যা নিয়ে দেখা দিয়েছে বিতর্ক।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, দুই ধরনের করোনা টিকাই বন্টিত হয়েছে। সেরামের কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন টিকা পেয়েছেন প্রথম দফার টিকা প্রাপকরা। কোন রাজ্যে কোভ্যাকসিন পৌঁছেছে, আর কোন রাজ্যে কোভিশিল্ড, তা স্থির করেছে কেন্দ্রই। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কোন রাজ্যে কত টিকাকরণ হয়েছে…
ভ্যাকসিন দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে উত্তর প্রদেশ। যোগী রাজ্যে করোনা টিকা পেয়েছেন ২১ হাজার ২৯১ জন। এরপরেই এগিয়ে অন্ধ্র প্রদেশ। সে রাজ্যে প্রথম দিন করোনা টিকা পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪১২ জন। মহারাষ্ট্রে করোনা টিকা পেয়েছেন ১৮ হাজার ৩২৮ জন। বিহারে করোনা টিকা পেয়ছেন ১৮ হাজার ১৬৯ জন। কর্নাটকে করোনা টিকা পেয়েছেন ১৩ হাজার ৫৯৪ জন। পশ্চিমবঙ্গে মোট টিকা পেয়েছেন ৯ হাজার ৭৩০ জন।
আরও পড়ুন: প্রথম ৭ জন মিলে ধর্ষণ, দ্বিতীয় বার ২ জনে, মর্মান্তিক পরিণতি ১৩ বছরের নাবালিকার
তবে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা ছিল অনেক বেশি। যেহেতু টিকাকরণ ঐচ্ছিক, তাই টিকা নিতে আসেননি অনেক স্বাস্থ্যকর্মী। সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রার থেকে কম টিকা বন্টিত হয়েছে। তবে করোনা টিকা বিতরণের প্রথম দিন অধিক ক্ষতিকারক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর আসেনি। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে ৫১ জনের শরীরে। প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সামান্য। একজনকে ২ ঘন্টার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। এছাড়া তেমন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর আসেনি।