নয়া দিল্লি: বিজেপি বিরোধী হিসেবে তাঁর দেশজুড়ে তাঁকে সবাই চেনে। সংসদে একাধিকবার বিজেপি বিরোধীতার সুর চরমে নিয়ে গিয়েছিলেন মার্কিন মুলুকের এই প্রাক্তন ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার। তাঁর বাক পটুতা শাসক থেকে বিরোধী, সকলেরই বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। তিনি কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। দিল্লির অলিন্দে তৃণমূলের অন্যতম পরিচিত মুখ মহুয়া বুধবার সকালেই বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন। নবরাত্রি উপলক্ষে দিল্লির বিস্তীর্ণ অংশে মাংসের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশিকাকেই তীব্র কটাক্ষ করেন তৃণমূল সাংসদ। তাঁর মতে ভারতের সংবিধান তাঁকে যে কোনও সময়, ইচ্ছে অনুযায়ী মাংস খাওয়ার অধিকার দিয়েছে। শুধু তাই নয় মাংসের দোকান যাদের রয়েছে, সেইসব দোকানদারদেরও ব্যবসা করার অধিকার দিয়েছে। তিনি যে মাংসের দোকান বন্ধ করার সিদ্ধান্তের সঙ্গে মোটেও সহমত নন, বুধবার সকালের টুইটেই সেই বিষয় নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ।
I live in South Delhi.
The Constitution allows me to eat meat when I like and the shopkeeper the freedom to run his trade.Full stop.
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) April 6, 2022
টুইটে মহুয়া মৈত্র লেখেন “আমি দক্ষিণ দিল্লিতে থাকি। সংবিধান আমাকে আমার ইচ্ছে অনুযায়ী মাংস খাওয়া অধিকার দিয়েছে এবং দোকানদারদেরও নিজেদের ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার অধিকার রয়েছে। ফুলস্টপ।” সোমবার দক্ষিণ দিল্লির মেয়র মুকেশ সূর্য ঘোষণা করেছিলেন ওই পুরসভা এলাকার সব মাংসের দোকান দেবী দুর্গার আগমনের পবিত্র দিনগুলি অর্থাৎ নবরাত্রির সময় বন্ধ থাকবে। মেয়র জানিয়েছিলেন, শুধু মাংসই নয় এই সময়ে ভক্তদের রসুন. পেঁয়াজ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। তিনি জানিয়েছিলেন বেশ কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এর পিছনে কারোর ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার কোনও উদ্দেশ্য নেই। দক্ষিণ দিল্লির মেয়র এনডিটিভিকে বলেছিলেন, “আমরা কঠোরভাবে সব মাংসের দোকান বন্ধ করছি। যদি মাংস বিক্রি না হয়, তবে মানুষ মাংস খাবে না।” সেই সময় বিভিন্ন ইসলামিক দেশের উদাহরণ দিয়ে মেয়র জানিয়েছিলেন, রমজানের সময় অনেক মুসলিম দেশেই জনসমক্ষে জল খাওয়া নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। মহুয়া দক্ষিণ দিল্লি পুরসভার এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আসলে বিজেপিকে কটাক্ষ করতে চেয়েছেন বলেই মনে করছেন অনেকে।