নয়া দিল্লি: সংসদ অধিবেশনের প্রথম দিনেই রাজ্যের বকেয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন তৃণমূল সাংসদের। আজ, ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে বাজেট অধিবেশন। আগামিকাল পেশ হবে কেন্দ্রীয় বাজেট। এ দিন অধিবেশনের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) মুখোমুখি হন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Banerjee)। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন যে রাজ্যের বকেয়া টাকা কবে দেবে কেন্দ্র? জবাবে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ক্যাগ রিপোর্টটা পড়ে দেখুন।
এ দিন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই জানান যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির সম্ভাষণের সময় তাঁর আসন প্রধানমন্ত্রীর কাছেই পড়েছিল। সেই সময়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে প্রশ্ন করেন, “রাজ্যের বরাদ্দ টাকা বকেয়া রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এসে আপনার বৈঠক করেছেন। তারপরও রাজ্যের বকেয়া অর্থ পাওয়া যায়নি। কবে কেন্দ্র এই বরাদ্দ টাকা দেবে?”
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ক্যাগ রিপোর্টটা আপনি একবার পড়ে দেখুন। তারপর কথা হবে”।
এদিনও কেন্দ্রকে দুষে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাংলার সঙ্গে বঞ্চনা করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাধ্য করা হচ্ছে ধরনা-সত্যাগ্রহে বসতে। লোকসভাতে এই নিয়ে আমাদের অবস্থান কী হবে, তা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।”
আগামিকাল বাজেট। এই বাজেট নিয়ে কেন্দ্রের কাছে কী প্রত্যাশা রয়েছে, সেই প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূল সাংসদ বলেন, ” এই সরকারের দিশা নির্দেশ মানেই হল বাংলাকে বঞ্চনা। এই সরকারের কাছে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটে আমাদের প্রত্যাশা কিছু নেই। কেন্দ্রীয় বকেয়া বরাদ্দ নিয়ে গিরিরাজ সিং এক কথা বলছেন, তারপর বেরিয়ে যাচ্ছেন। পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন পিছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন, তারপর বলছেন যে আমাদের অপেক্ষায় বসেছিলেন। যা করতে হবে, রাস্তায় নেমে লড়াই করেই ছিনিয়ে নিতে হবে।”
এ দিন অধিবেশনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘রাম রাম’ বলেছিলেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, রাম রাম বলেই লোকসভা নির্বাচনের সুর বেধে দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর রাম রাম বলেছেন, ভাল কথা। কিন্তু সীতারাম বললে আমি খুশি হতাম। আমরা রাধাকৃষ্ণ বলি। এই পার্থক্যটা ধরিয়ে দিলে আমর খুশি হতাম।”