AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

TMC in Parliament Session: ‘হিন্দি-উর্দু বললে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দিন…’, সংসদে বিস্ফোরক শতাব্দী

Parliament Winter Session: এদের মধ্যে একজন অন্তঃসত্ত্বা মহিলাও ছিলেন। তাঁকেও বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হয়েছে।' কিন্তু এই বিষয়ে নিজের সম্পূর্ণ বক্তব্য শেষ করতে পারেননি তিনি। তার আগেই স্পিকারের নির্দেশে নিজের প্রশ্ন পড়তে শুরু করে দেন জম্মু ও কাশ্মীরের বিজেপি সাংসদ যুগল কিশোর। তখনই চড়ে উত্তেজনা।

TMC in Parliament Session: 'হিন্দি-উর্দু বললে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দিন...', সংসদে বিস্ফোরক শতাব্দী
তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় Image Credit: নিজস্ব চিত্র
| Updated on: Dec 05, 2025 | 5:07 PM
Share

নয়াদিল্লি: সংসদে হট্টগোল। বাংলা-বাঙালি ইস্যুতে তৈরি হল তপ্ত পরিস্থিতি। স্পিকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলল তৃণমূল। কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না বলেই দাবি সাংসদদের। শুক্রবার সপ্তাহের শেষ অধিবেশনে লোকসভায় বাংলা-বাঙালি ইস্যুতে সুর চড়ায় রাজ্যের শাসকপক্ষের সাংসদরা।

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাঙালিদের বাংলাদেশি সন্দেহে পুশব্যাক করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। বাঙালি মানেই বাংলাদেশি নয়, বারংবার সেই দাবিকে সামনে রেখেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চওড়া করেছিলেন তিনি। এই ঘটনার সবচেয়ে তরতাজা নজির সোনালি খাতুনের ঘটনা। সোনালিকে কেন্দ্রীয় সরকার দেশে ফেরাতে রাজি হলেও, তাঁর ‘বাংলাদেশি’ তকমা এখনই মুছে দিতে চায় না কেন্দ্র।

শুক্রবার এই ইস্যুতেই সংসদে সুর চড়িয়েছিলেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। ‘এই বছর ওড়িশায় ৪৪৪ জন বাঙালিকে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করা হয়েছে। কিন্তু এদের অধিকাংশই মুর্শিদাবাদ, মালদহ, বীরভূমের বাসিন্দা। এদের মধ্যে একজন অন্তঃসত্ত্বা মহিলাও ছিলেন। তাঁকেও বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হয়েছে।’ কিন্তু এই বিষয়ে নিজের সম্পূর্ণ বক্তব্য শেষ করতে পারেননি তিনি। তার আগেই স্পিকারের নির্দেশে নিজের প্রশ্ন পড়তে শুরু করে দেন জম্মু ও কাশ্মীরের বিজেপি সাংসদ যুগল কিশোর। তখনই চড়ে উত্তেজনা।

শতাব্দীকে কথা বলতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তোলেন উপস্থিত তৃণমূল সাংসদরা। শুরু হয়ে যায় স্লোগান। গলা চড়ান কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও। ওয়েলে নেমেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তাঁরা। তবে পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে হাতে বাইরে বেরিয়ে যায় না। কার্যত চাপের মুখে পড়েই শতাব্দীকে ফের কথা বলতে দেন স্পিকার। তারপরই আরও চড়া সুর শতাব্দীর। বিজেপির দিকে তীব্র আক্রমণের সুরে তিনি বলেন, ‘যদি বাংলা বলায় কাউকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। তা হলে বিজেপি নেতা কর্মীদেরও হিন্দি-উর্দু বলার জন্য পাকিস্তানে পাঠিয়ে দিন।’