সলিসিটর জেনারেলের পদ থেকে তুষার মেহতার অপসারণ চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে তৃণমূল
TMC Tushar Mehta Suvendu Adhikari: শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে নারদ মামলার আইনজীবীর সাক্ষাতের অভিযোগে তুষার মেহতার অপসারণ চেয়ে রাইসিনা হিলসে যাবেন তৃণমূল সাংসদেরা।
কলকাতা: কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে অপসারণ করার দাবিতে শুক্রবারই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। বিষয়টি নিয়ে এ বার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দ্বারস্থ হচ্ছে রাজ্যের শাসকদল। শনিবার এক সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় জানান, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে নারদ মামলার আইনজীবীর সাক্ষাতের অভিযোগে তুষার মেহতার অপসারণ চেয়ে রাইসিনা হিলসে যাবেন তাঁরা। তৃণমূলের এক সংসদীয় প্রতিনিধি দল এই আবেদন জানাবে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে। যদিও তৃণমূলের কোন কোন যাবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।
নারদকাণ্ডে অভিযুক্ত শুভেন্দু অধিকারী কীভাবে সলিসিটর জেনারেলের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন? এই প্রশ্ন তুলেই বিগত ৭২ ঘণ্টা ধরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে আক্রমণে শান দিয়েছে তৃণমূল। বারংবার করে তুষার মেহতাকে সলিসিটর জেনারেলের পদ থেকে অপসারণের দাবি তোলা হচ্ছে। তুষার মেহতা এবং শুভেন্দু অধিকারী, উভয়ই যদিও এই সাক্ষাতের বিষয়ে অস্বীকার করেছেন। তৃণমূল যদিও দমতে নারাজ। শুভেন্দু সলিসিটর জেনারেলের বাড়িতে আধঘণ্টা কাটানোর পরও যদি সাক্ষাৎ না হয়ে থাকে, তবে বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আনা হোক। সেই দাবিও তুলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সূত্র টেনে এ বার রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে বলে জানিয়েছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর ১৫ দিনেই বড় সাফল্য পেল মমতার ‘কৃষক বন্ধু’, উপকৃত বাংলার ৬২ লক্ষ চাষি
উল্লেখ্য, শুক্রবার বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীন এই বিষয়ে শুভেন্দুর কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি দাবি করেন যে তুষার মেহতার সঙ্গে তাঁর দেখা হয়নি। কিছুক্ষণের মধ্যেই সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার পক্ষ থেকেও বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার তাঁর পূর্ব নির্ধারিত কিছু বৈঠক ছিল। ‘না জানিয়েই’ শুভেন্দু তাঁর বাড়ি পৌঁছে গিয়েছিলেন। শুভেন্দু তাঁর বাড়ি পৌঁছে অপেক্ষা করতে থাকেন। তখন চেম্বারে ব্যস্ত ছিলেন সলিসিটর জেনারেল। এরপর চা পান করেন, এবং তারপর বেরিয়ে যান শুভেন্দু। TV9 বাংলাকে এমনটা জানিয়েছেন তুষার মেহতা ঘনিষ্ঠ সূত্র। যদিও বৃহস্পতিবার যখন দিল্লিতে শুভেন্দুকে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তখন কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি তিনি। গোটা বিতর্কের জল এ বার রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত গড়াতে চলেছে।
আরও পড়ুন: লালবাজারের হাতে নয়া তথ্য? দেবাঞ্জনকে সঙ্গে নিয়েই সাড়ে তিন ঘণ্টা তল্লাশি কসবার অফিসে