নির্দেশ না মানলে রামদেবকে দিতে হবে ১০০০০০০০০০০ টাকা
আইএমএর উত্তরাখণ্ডের সচিব অজয় খান্না আইনজীবী নীরজ পান্ডের হাত দিয়ে রামদেবের কাছে মানহানির এই নোটিস পাঠিয়েছেন।
দেরাদুন: ইন্ডিয়ান মেডিক্য়াল অ্যাসোসিয়েশনের (IMA) সঙ্গে রামদেবের তরজা অব্যাহত। এ বার বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ১,০০০ কোটি টাকার মানহানির নোটিস রামদেবকে ধরাল শীর্ষ চিকিৎসক সংগঠন। নোটিস দিয়ে আইএমএ জানিয়েছে, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে লিখিত বিবৃতি দিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে রামদেবকে। তা না হলে ১ হাজার কোটি টাকা দিতে হবে যোগগুরুকে। তা ছাড়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়ে রামদেবের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা করার আর্জি জানিয়েছে আইএমএ।
আইএমএর উত্তরাখণ্ডের সচিব অজয় খান্না আইনজীবী নীরজ পান্ডের হাত দিয়ে রামদেবের কাছে মানহানির এই নোটিস পাঠিয়েছেন। যেখানে তাঁর দাবি, রামদেবের মন্তব্যে আইএমএর সঙ্গে যুক্ত ২ হাজার চিকিৎসকের সম্মানহানি হয়েছে। তাই ধারা ৪৯৯-এর ‘ফৌজদারি মামলার’ দাবি করেছে আইএমএ। ওই নোটিসে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রামদেবকে লিখিত ও ভিডিয়ো বার্তার মাধ্যমে মন্তব্য প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছে আইএমএ। তাছাড়া কোরোনিল নিয়ে করোনা সংক্রান্ত সব প্রচার বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে আইএমএ। তা না হলে রামদেবের বিরুদ্ধে এফআইআরের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে চিকিৎসকদের শীর্ষ সংগঠন।
ঠিক কী বলেছিলেন রামদেব?
যোগগুরুকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “অ্যালোপ্যাথিক একটি দেউলিয়া বিজ্ঞান। লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ খাওয়ার কারণেই হয়েছে।” তাঁর এই মন্তব্য যে দেশের গোটা চিকিৎসক সমাজ এবং সংগঠনের জন্য চরম অবমাননাকর বলে দাবি করা হয়েছে শীর্ষ চিকিৎসক সংগঠনের তরফে। তিনি আগেও এই ধরনের একাধিক ন্যক্কারজনক মন্তব্য করেছেন বলেও অভিযোগ করেছে আইএমএ। এমন স্পর্শকাতর পরিস্থিতির মধ্যে এই ধরনের মন্তব্য যাতে গ্রাহ্য না করা হয় সেই কারণে মহামারি আইন কাজে লাগিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের-সহ বাবা রামদেবকে গ্রেফতার করার দাবি জানানো হয়েছে কেন্দ্রের কাছে। এরপর রামদেবকে মন্তব্য প্রত্যাহার করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনও। তারপর ক্ষমা চান রামদেব।
চিঠিতে রামদেব লেখেন, “আমি আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান এবং অ্যালোপ্যাথির বিরোধী নই। আমি মনে করি জীবনরক্ষা এবং শল্য চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অ্যালোপ্যাথি অনেক উন্নতি করেছে এবং মানব সেবায় কাজ করছে। আমার যেই বক্তব্যটি উদ্ধৃত করা হয়েছে, তা একজন কর্মীদের বৈঠকের বক্তব্য, যেখানে আমি হোয়াটসঅ্যাপে আসা একটি সংবাদ পড়ে শোনাচ্ছিলাম। এই বক্তব্যে যদি কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন, তার জন্য আমি দুঃখিত।”
রামদেবকে মানহানির নোটিস দেওয়ার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও চিঠি দিয়ে রামদেবের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা করার আর্জি জানিয়েছে আইএমএ।
আরও পড়ুন: মারাত্মক ভুল! প্রথম ডোজ়ে কোভিশিল্ড, দ্বিতীয় ডোজ়ে কোভ্যাক্সিন পেলেন গ্রামবাসীরা