Ladakh: লাদাখে এই ‘ভুতুড়ে’ মন্দিরে পুজো হয় জলের বোতল দিয়ে, ঘুরে বেড়ায় অতৃপ্ত আত্মা

Aug 04, 2024 | 10:33 PM

Ladakh: এই অনন্য মন্দিরে ভক্তরা ফুল নয়, প্লাস্টিকের জলের বোতল অর্পণ করে। আর তাই জায়গাটি প্লাস্টিকের জলের বোতলের স্তূপে ঘেরা। আসলে এখানে কোনও স্থায়ী মন্দিরের কাঠামো নেই। তবে, প্লাস্টিকের বোতলের এই স্তূপ দিয়েই জায়গাটি চেনা যায়। ঘুরে বেড়ায় এক অতৃপ্ত আত্মা।

Ladakh: লাদাখে এই ভুতুড়ে মন্দিরে পুজো হয় জলের বোতল দিয়ে, ঘুরে বেড়ায় অতৃপ্ত আত্মা
এখানে সবাই পুজো দেয় জলের বোতল দিয়ে
Image Credit source: Twitter

Follow Us

শ্রীনগর: এই পৃথিবী রহস্য আর বিস্ময়ে মোড়া। বিজ্ঞানীরা সেই সব রহস্যের অনেকগুলিই সমাধান করেছেন। কিন্তু, আজও এমন কিছু বিষয় রয়েছে, যা বিজ্ঞানীদেরও অবাক করে দেয়। এরকমই এক বিস্ময়কর মন্দির রয়েছে লাদাখে। সাধারণত, মন্দিরে ভক্তরা ফুল দিয়ে পুজো করে। কিন্তু এই অনন্য মন্দিরে ভক্তরা ফুল নয়, প্লাস্টিকের জলের বোতল অর্পণ করে। আর তাই জায়গাটি প্লাস্টিকের জলের বোতলের স্তূপে ঘেরা। আসলে এখানে কোনও স্থায়ী মন্দিরের কাঠামো নেই। তবে, প্লাস্টিকের বোতলের এই স্তূপ দিয়েই জায়গাটি চেনা যায়। সম্প্রতি এক ভ্লগার এই জায়গার একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর সেই ভিডিয়ো দেখে হতবাক নেটিজেনরা। এমন যে কোনও জায়গা আছে, তাই অধিকাংশ মানুষ জানেন না। কেউ বলেছেন, এই জায়গা ভারতের বিস্ময়। আবার কেউ কেউ ওই জায়গায় একটি মন্দিরটি প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন।

ওই ভ্লগার সাইকেলে করে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ান আর তাঁর সফরের ছবি ক্যামেরায় বন্দি করেন। সম্প্রতি, তিনি লাদাখ সফরে গিয়েছিলেন। সেখানকার একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। রাজস্থানের জয়পুর থেকে তিনি সাইকেলে লাদাখের উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন। তিনি তাঁর চ্যানেলের ফলোয়ারদের জানিয়েছেন, এক মাসে তাঁর লাদাখ ভ্রমণ শেষ হয়েছে। লাদাখের পথে, গাটা ল্যুপে তিনি পাহাড়ের মাঝে একটি অস্থায়ী মন্দির দেখতে পান। অস্থায়ী মন্দিরটির বাইরে শয়ে শয়ে জলের বোতল পড়ে ছিল। ভিডিয়োতে তিনি বলেছেন, “প্রথম নজরে, কারও মনে হতেই পারে, বেশ কিছু লোক মদ্যপান করার পর, এখানে জলের বোতল ফেলে দিয়ে গিয়েছে। অথবা, এখানে আবর্জনা ফেলা হয়েছে। তবে বিষয়টি মোটেও তা নয়। মানুষ এখানে নিজে থেকেই আসে এবং জলের বোতল দিয়ে পুজো দেয়।”


তিনি আরও জানিয়েছেন, জায়গাটি ভূতুড়ে। ওই স্থানে ভূতের উপদ্রব রয়েছে বলে শোনা যায়। ওই জায়গার এই অনন্য প্রথা শুরুর পিছনে রয়েছে এক ট্রাক চালকের মর্মান্তিক মৃত্যুর কাহিনি। ১৯৯৯ সালে ওই অস্থায়ী মন্দিরটির কাছে তৃষ্ণার্ত অবস্থায় মারা গিয়েছিলেন ওই ট্রাক চালক। তাঁর কাছে খাওয়ার জল ছিল না। লাদাখের ওই প্রতিকীল ভূখণ্ডে তিনি কোথাও জলও পাননি। ওই এলাকায় জলের এখনও পানীয় জলের খোঁজে ওই ট্রাক চালকের অতৃপ্ত আত্মা ঘুরে বেড়ায় বলে কথিত আছে। আর তাই, ওই অতৃপ্ত আত্মার তৃষ্ণা মেটাতেই ওই এলাকা দিয়ে যারাই যায়, তারা সেখানে একটি জলের বোতল দিয়ে যায়। অনেকে গোটা জলের বোতল না দিলেও, সেখানকার খটখটে শুকনো পাথরের বোল্ডারে কিছুটা জল ঢেলে দিয়ে যায়। ওই ভ্লগার জানিয়েছেন, কেউ কেউ মন্দির চত্বরে তামাক ও জর্দাও নিবেদন করেছে।


ভিডিয়োটি ভাইরাল হওয়ার পর, অনেকেই বলেছেন, ওই এলাকায় একটি স্থায়ী মন্দির তৈরি করা উচিত। কেউ কেউ বলেছেন, জলের বোতল নিবেদন না করে, মৃত ট্রাকচালকের নামে সেখানে একটি জলের ট্যাঙ্ক তৈরি করলে ভাল হয়। তাহলে ভবিষ্যতে আর কাউকে ওই হতভাগ্য ট্রাকচালকের মতো তৃষ্ণায় মরতে হবে না। আরেকজন বলেছেন, পাহাড়ে এভাবে প্লাস্টিক বর্জ্য ছড়াচ্ছে। তাই, বোতল ভর্তি জল না দেওয়ার বদলে শুধু পাথরে জল ঢালাই ভাল।

Next Article