দিল্লি: দিল্লির ঠান্ডায় বেজায় কাবু বীরভূমের ‘বাঘ’ অনুব্রত মণ্ডল। তিহারের জেলে বন্দি হয়ে রয়েছেন প্রায় একবছরের বেশি সময়। আর সেখানে থাকতে থাকতে শরীর এবং মন দুই খারাপ। তাই স্বশরীরে আদালতে হাজিরা দেওয়া থেকে অব্যহতি চান তিনি।
এখন দিল্লিতে ২০ ডিগ্রির আশেপাশে তাপমাত্রা ঘোরাঘুরি করছে। ‘শীত কাতুরে’ বাঙালির একাংশ এতেই কাবু হয়ে যান। এবার ঠান্ডা কার্যত কাবু করে দিয়েছে কেষ্টকে। শুধু তিনি নন, মেয়ে সুকন্যা এবং জেলেও ছায়া সঙ্গী সেহগাল হোসেনেরও একই আবেদন যাতে ভার্চুয়ালি তাঁদের আদালতে হাজির করানো যায়। সূত্রের খবর, এ দিন তিনজনকেই দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ বিশেষ ইডি আদালতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাজিরার আবেদন করলে সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। পরবর্তী নির্দেশ না হওয়া পর্যন্ত কন্যা এবং সেহগাল সহ অনুব্রত ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমেই আদালতে হাজিরা দেবেন। এই তিন জনের আবেদনে কোনও বিরোধিতা করেনি ইডি। ফলে আদালতে আবেদন মঞ্জুরি পেতে বিশেষ সমস্যাও হয়নি।
সূত্রের খবর লোকসভা নির্বাচনের আগে বোলপুরে বা রাজ্যে ফেরার আশা যে ক্ষীণ সেটা বুঝতে পারছেন কেষ্ট। অন্যদিকে খবর পাচ্ছেন টুকটাক যে কীভাবে তার সাম্রাজ্য ধীরে ধীরে দখলে আনছে তাঁর ‘চির প্রতিদ্বন্দ্বী’ কাজল শেখ। জেলায় নিজের অনুগামীদের একটা অংশ যারা এখনও অনুব্রত মণ্ডল এর ওপর আস্থা রাখেন, তারা যে কোণঠাসা সেটাও খবর পাচ্ছেন তিহারে বসেই। আবার অনেক অনুগামী যে জাহাজ বদলের চেষ্টায় সেটাও জেনেছেন তিনি। ফলে সব মিলিয়ে শরীরের থেকে মানসিক দিক দিয়ে অসুস্থতা বেড়েছে। তাই আদালতে লোকজনের সংস্পর্শ এড়াতে চাইছেন অনুব্রত। এমনটাই ইঙ্গিত অনুগামীদের একাংশের।
অন্যদিকে মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই গরু পাচার মামলার অন্যতম অভিযুক্ত বাদল কৃষ্ণ সান্যালের মৃত্যু হয়েছে। বয়স জনিত অসুস্থতায় মৃত্যু। বাদল ,গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়া বিএসএফ কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমারের শ্বশুর। সতীশ এবং তাঁর স্ত্রী তানিয়া জামিন পেয়েছেন। তবে আইনজীবীদের একাংশের আশঙ্কা সতীশের জামিনের যুক্তি দিয়ে কেষ্ট মণ্ডলের জামিন এখনই পাওয়া খুব কঠিন।