Prayagraj Killings: ‘যোগীর পাশাপাশি দায় নিতে হবে মোদীকেও’, প্রয়াগরাজে পা রেখেই তোপ দোলার
Prayagraj Killings: প্রয়াগরাজে পৌঁছেই যোগী-মোদীকে একযোগে আক্রমণ শানালেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে নতুন চর্চা।
প্রয়াগরাজ : প্রয়াগরাজ হত্যাকাণ্ড নিয়ে গতকাল থেকেই উত্তপ্ত দেশের রাজনৈতিক মহল। একদিকে বাংলার বগটুই গণহত্যা নিয়ে যেখানে গত মাস থেকে সরগরম বাংলার রাজ্য-রাজনীতি, সেখানে যোগী রাজ্যে একই পরিবারের পাঁচ সদস্যকে কুপিয়ে খুনের ঘটনা ফের শুরু হয়েছে নতুন চাপানউতর। প্রয়াগরাজ গণহত্যার (Prayagraj Killings) নেপথ্য রহস্য উদঘাটনে ইতিমধ্য়েই উত্তর প্রদেশে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচ সদস্যের ‘ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং’ কমিটি। রবিবার দুপুরেই শহরে পৌঁছে যান তাঁরা। দলের নেতৃত্বে রয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন। প্রয়াগরাজে(Prayagraj) পা রাখতেই যোগী-মোদীর(Yogi-Modi) বিরুদ্ধে একযোগে আক্রমণ শানান তিনি। প্রসঙ্গত, এই প্রয়াগরাজের খুব কাছেই রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর লোকসভা কেন্দ্র বারাণসী। কিন্তু প্রয়াগরাজের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির এই অবনতি কেন ? প্রশ্ন দোলার।
প্রসঙ্গত, প্রয়াগরাজ হত্যাকাণ্ডের সত্যানুসন্ধানে তৃণমূলের তরফে যে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি তৈরি করা হয়েছে তাতে দোলা সেন ছাড়াও রয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর, খাদ্য প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মাণ্ডি, তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র তথা আরটিআই কর্মী সাকেত গোখেল। রয়েছেন উত্তর প্রদেশের তৃণমূল নেতা ললিতেশ ত্রিপাঠি। তাঁরা এদিন মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। পাশে থাকার আশ্বাস দেন। একইসঙ্গে দোষীদের যথাযথ শাস্তিরও দাবি করেন। এদিন দোলাদের প্রয়াগরাজের ছবি তৃণমূলের উত্তর প্রদেশের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে পোস্টও করা হয়েছে। প্রয়াগরাজে দাঁড়িয়েই যোগী সরকারের কড়া ভাষায় তীব্র নিন্দা করেন দোলা। তাঁর কথায়, ‘যোগীজি মুখে যতই বুলডোজার শাসন ব্যবস্থার বলুন, আসলে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছুই নেই। হাথরস, উন্নাও থেকে বারবার এর প্রমাণ মিলছে। প্রয়াগরাজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কেন্দ্র বারাণসীর কাছের। তাই এই ঘটনার দায় যোগীর পাশাপাশি মোদীকেও নিতে হবে’। এদিকে দোলা আগমনে যে যোগী শিবিরের অস্বস্তি বেড়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
বগটুই কাণ্ডের পর রাজ্যে এসেছে বিজেপির প্রতিনিধি দল, যা নিয়ে তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে ঘাসফুল শিবিরের নেতাদের। এবার বিজেপি-র পোস্টার বয় যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে এই নারকীয় খুনের ঘটনায় স্বভাবতই সমালোচনায় মুখর হয়েছে মমতা ব্রিগেড। রাতারাতি প্রগায়রাজে পৌঁছে গিয়েছে প্রতিনিধি দল। শনিবারের এই অমানবিক ঘটনার পর থেকে উত্তর প্রদেশ প্রশাসনকে ‘ডবল ইঞ্জিন ডিজাস্টার’ বলে শনিবার থেকে লাগাতার প্রচার শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির। যা নিয়ে বর্তমানে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোরদার চর্চা। প্রয়াগরাজের খেভরাজপুরে ঘটেছে এই নারকীয় হত্যাকাণ্ড। ২ বছরের শিশু সহ একই পরিবারের ৫ জনকে নির্মমভাবে কুপিয়ে খুন করেছে হত্যাকারীরা। খুনের আগে দুই মহিলাকে ধর্ষণও করা হয়েছে বলে অভিযোগ। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের বাড়ি। এই ঘটনা দেখেই শিউরে উঠেছে গোটা দেশ।
আরও পড়ুন- ভারতীয় রেলে বড় চাকরির সুযোগ? ভুয়ো বিজ্ঞপ্তি নিয়ে সতর্ক বাড়ছে ধোঁয়াশা