আগরতলা: আগামী বছরের শুরুতেই বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা ত্রিপুরায়। তার আগে রাজ্যজুড়ে রথযাত্রার আয়োজন করতে চলেছে শাসক দল বিজেপি। সোমবার (২৬ ডিসেম্বর), রাজ্যের বিজেপি নেতারা জানিয়েছেন, ১ জানুয়ারি থেকেই এই রথযাত্রা শুরু হবে। এই যাত্রার সুষ্ঠু আয়োজনের জন্য, রাজ্যের সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি তিন সদস্যের কমিটি তৈরি করা হয়েছে। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বচনের আগে রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা একাধিক শোভাযাত্রা করেছিলেন। তব, উত্তর-পূর্বের রাজ্যটিতে এই ধরনের রথযাত্রার আয়োজন এই প্রথম হতে চলেছে।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। তার অনেক আগে থেকেই নির্বাচনী প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। রবিবারই (২৫ ডিসেম্বর)শেষ হয়েছে বিজেপির আরও এক জন সংযোগ কর্মসূচি ‘প্রতি ঘর সুশাসন’। এই কর্মসূচি শেষ হতে না হতেই রথযাত্রার মাধ্যমে ভোট প্রচারে ঝাঁপাচ্ছে গেরুয়া শিবির। ত্রিপুরা বিজেপির মিডিয়া ইনচার্জ সুনিত সরকার বলেছেন, “উত্তর ত্রিপুরা জেলা থেকে একটি যাত্রা শুরু হবে। আরেকটি যাত্রা শুরু হবে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা থেকে।” দলের মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী জানিয়েছেন, নির্বাচনের আগে মানুষের আশীর্বাদ চাওয়াই হল এই যাত্রার উদ্দেশ্য।
ইতিমধ্যেই, প্রতিটি বুথ ধরে ধরে ভোটের রণকৌশল তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। বিজেপির জাতীয় সম্পাদক বিএল সন্তোষ আছেন ত্রিপুরার দায়িত্বে। তিনি বর্তমানে উত্তর পূর্বের রাজ্যেই আছেন। রাজ্যে দলের নির্বাচনী প্রস্তুতির খোঁজ খবর করা শুরু করে দিয়েছেন তিনি। রবিবারই ত্রিপুরা বিজেপির ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতা।
২০১৮ সালের নির্বাচনে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের নেতৃত্বে নির্বাচন লড়েছিল বিজেপি। ৬০ আসনের ত্রিপুরা বিধানসভায় গেরুয়া শিবির জিতেছিল ৩৬ আসনে। প্রধান প্রতিপক্ষ বামফ্রন্ট বামফ্রন্ট জিতেছিল ১৬ আসনে। আর স্থানীয় দল আইপিএফটি জিতেছিল ৮ আসনে। পরে তারা বিজেপি সরকারকেই সমর্থন করেছিল। চলতি বছরের মে মাসে বিপ্লব দেবকে সরিয়ে মানিক সাহাকে ত্রিপুরার নয়া মুখ্যমন্ত্রী মনোনীত করেছে বিজেপি।