আগরতলায়: টিলার রাজ্য ত্রিপুরায় (Tripura) উৎসবের মেজাজে ভোটগ্রহণ (Tripura Assembly Elections 2023) শুরু হলেও ঘণ্টা তিনেকের মধ্যেই তাল কাটল। নিয়ম মতো সকাল ৭ টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ পর্ব। বেলা গড়াতেই সকাল ৯টা নাগাদ সামনে আসতে থাকে একের পর এক হিংসার অভিযোগ। ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হতেই বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর মিলছে। সবক’টি ক্ষেত্রেই অভিযোগের তির শাসক বিজেপির বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি দেখে শুনে পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছে, প্রতিবেশী বাংলার থেকে উত্তর-পূর্বের রাজ্যেটিতেও নির্বাচনী হিংসার সংস্কৃতি ঢুকে পড়ল।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, দক্ষিণ ত্রিপুরায় হামলার শিকার হয়েছেন এক সিপিআই সমর্থক। দক্ষিণ ত্রিপুরার শান্তিরবাজার বিধানসভা কেন্দ্রের কালাছেরায় বুথের বাইরে তাঁর উপরে হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আক্রান্ত সিপিআই সমর্থককে ইতিমধ্যে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং স্বত্বঃপ্রণোদিত মামলাও দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে পানিসাগর বিধানসভা কেন্দ্রেও বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভোটারদের ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই এলাকায় সাংবাদিকদের বুথে ঢোকা নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে বচসায় জড়ানোর দৃশ্য দেখা গিয়েছে।
সিপিআইএম-এর তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, ৩৩ কাকড়াবন-শালগড়া বিধানসভা কেন্দ্রের ২৫ নম্বর কেন্দ্রে ভোটারদের বুথে ঢুকতে বাধা দিচ্ছে বিজেপি কর্মীরা। এই একই ছবি ধরা পড়েছে অমরপুর বিধানসভার ৪৪ নম্বর বুথে। সেখানে বিজেপির বিরুদ্ধে ছাপ্পা দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। এদিকে, একই অভিযোগ ঋষ্যমুখ বিধানসভার হরিপুর দাস পাড়ার ৩৭ নম্বর বুথে। এখানেও ভোটারদের ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত, আজ ত্রিপুরার ৬০টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে সকাল ৭টা থেকে। সকাল ১১ টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে মোট ৩১ শতাংশ। এই টিলার রাজ্যে চলছে ত্রিমুখী লড়াই। একদিকে শাসক দল বিজেপি। অন্যদিকে বাম-কংগ্রেস জোট। আর একদিকে ত্রিপুরার রাজ পরিবারের প্রদ্যোৎ মানিক্য দেববর্মার তিপ্রা মোথা। এই তিন দলের মধ্যেই কার্যত চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। বিজেপি নিজের গদি টিকিয়ে রাখতে পারবে নাকি আবার হবে ক্ষমতা বদল, তা জানা যাবে ২ মার্চ ফলাফল প্রকাশের পর।