আগরতলা: আমচকাই ত্রিপুরা সফরে বাংলার মহারাজ (Sourav Ganguly)। সোমবার সন্ধ্যায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আগরতলায় পৌঁছতেই হোটেলে গিয়ে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান খোদ ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী (Tripura CM)। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও বাংলার পাশাপাশি বিজেপি-শাসিত রাজ্য, ত্রিপুরারও ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। হোটেলে গিয়ে তাঁর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎকারের বিষয়টি নিছক সৌজন্যমূলক বলে জানিয়েছেন ত্রিপুরার প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।
ত্রিপুরা পর্যটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হওয়ার পর ২ দিনের সফরে সোমবার আগরতলায় যান সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। আগতরতলা পুরসভার তরফে সম্বর্ধনা দেওয়া হয় প্রাক্তন ভারত অধিনায়ককে। মঙ্গলবার গোমতী জেলার ছবিমুড়া ও আগরতলার উজ্জয়ন্ত প্রাসাদে ট্যুরিজমের উপর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় প্রোমোশনাল শ্যুট করবেন। সেখানেই তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ত্রিপুরা ট্যুরিজম ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসাবে ত্রিপুরার পর্যটন দফতরের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করবেন বলে জানিয়েছেন সে রাজ্যের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
ত্রিপুরা ট্যুরিজমের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হলেও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আদতে একজন ক্রিকেটার। তাই সোমবার আগরতলা পৌঁছেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ত্রিপুরার ক্রিকেটের উন্নয়নের ব্যাপারে জোর দেন। ত্রিপুরায় ক্রিকেটের অগ্রগতির জন্য মানিক সরকারের কাছেও আবেদন জানান প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি। রাজ্যে স্টেডিয়াম করার আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, “ক্রিকেট কেবল একটা খেলা নয়, এটা আবেগ। যদি এখানে স্টেডিয়াম থাকত তাহলে এখানেও ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হত। যদি অসম, কলকাতা, বিহারে খেলা হতে পারে তাহলে ত্রিপুরায় নয় কেন?”
প্রসঙ্গত, গত জুনে আগরতলা থেকে কলকাতায় টেলিফোনে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। তারপর তিনি জানান, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ত্রিপুরার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হতে সম্মত হয়েছেন। পরে বিষয়টিতে সমর্থন জানিয়ে সৌরভও টুইট করেন। এর কয়েক মাস পর গত মাসে বিশ্ববঙ্গ গ্লোবাল বিজনেজ সামিটের মঞ্চ থেকে বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসাবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সৌরভও সেটা গ্রহণ করেছেন। যা বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।