নয়া দিল্লি: ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বরের পর জম্মু-কাশ্মীরের জন্য এক ঐতিহাসিক দিন হিসাবে উঠে এসেছে গতকাল, ১১ ডিসেম্বর। গতকাল জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্তকে বৈধ বলে ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। একই দিনে রাজ্যসভায় পাশ হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর সংরক্ষণ (সংশোধনী) বিল, ২০২৩ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন (সংশোধনী) বিল, ২০২৩। এবার এদিন জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণের বিল পেশ হতে পারে। শুধু জম্মু ও কাশ্মীর নয়, আরেক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরি বিধানসভারও মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণের বিল এদিন সংসদে পেশ হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
গত বাদল অধিবেশনেই সংসদে ‘নারীশক্তি বন্দন অধিনিয়াম’ বিল পাশ করিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। এই বিলের অধীনে বিধানসভা ও লোকসভায় মহিলাদের জন্য এক-তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষিত করার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। মহিলাদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্য়েই এই উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। যদিও সমগ্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সময় লাগবে। তাই ২০২৯ সাল থেকে এটি কার্যকরী হবে বলে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে। তবে জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভার পুনর্গঠন বিল ইতিমধ্যে সংসদে পাশ হয়েছে। তাই একইসঙ্গে জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় মহিলাদের আসন সংরক্ষণের বিলটিও পাশ করাতে কেন্দ্র উদ্যোত বলে সূত্রের খবর। জম্মু-কাশ্মীরের সঙ্গে আরেক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরি বিধানসভার বিলটিও একসঙ্গে পাশ করিয়ে নিতে চায় কেন্দ্র।
প্রসঙ্গত, পুদুচেরি বিধানসভার মোট আসন সংখ্যা ৩০ এবং বর্তমানে জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার পুনর্গঠনের পর আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৪।
জম্মু-কাশ্মীর ও পুদুচেরি বিধানসভায় মহিলাদের আসন সংরক্ষণের বিল ছাড়াও মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত বিলটিও এদিন রাজ্যসভায় পেশ করা হতে পারে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল এই বিলটি পেশ করতে পারেন।