আগরতলা : সম্প্রতি মুখ্য়মন্ত্রী বদল ঘিরে ত্রিপুরার রাজনীতিতে এসেছিল নয়া মোড়। এবার সেই উত্তেজনার মধ্য়েই রাজ্যে উপনির্বাচনের দামামা বেজে উঠল। বিধানসভা নির্বাচনের প্রায় নয় মাস আগেই রাজ্যে অনুষ্ঠিত হবে উপনির্বাচন। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ২৩ জুন আগরতলা, টাউন বরদোয়ালি, সুরমা ও যুবরাজনগর বিধানসভাকেন্দ্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই উপনির্বাচন বিজেপির জন্য একটি সেমিফাইনাল তা বলা বাহুল্য।
নিঃসন্দেহে বিজেপির নয়া মুখ্য়মন্ত্রী মানিক সাহার জন্য় এই উপনির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। পাশাপাশি অন্যান্য বিরোধী দল অর্থাৎ, সিপিএম, কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসও এই নির্বাচনে ত্রিপুরার একাংশ বাসিন্দার মনে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা পরীক্ষা করে নিতে পারবে। এ বছর জানুয়ারি মাসে প্রাক্তন মন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মন বিজেপি থেকে ইস্তফা দিয়ে কংগ্রেসে যোগ দেন। তিনি আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন। তারপরই এই কেন্দ্রে নির্বাচনের প্রয়োজন হয়েছে। গত বছর মে মাসে সুরমা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক আশীষ দাস বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। শুক্রবার তিনি তৃণমূল থেকেও বেরিয়ে যান।
গত বছর ত্রিপুরায় পৌরসভা নির্বাচন ঘিরে রাজ্য জুড়ে হিংসার ছবি দেখা গিয়েছিল। বাইক বাহিনীর অত্যাচারের একাধিক অভিযোগ করা হয়েছিল তৃণমূলের তরফে। সেই থেকেই রাজ্য়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শাসক ও বিরোধী দলের মধ্য়ে। রাজ্যে উপ-নির্বাচনে পুনরায় যাতে অশান্তি না হয় তার আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (CEO) কিরণ দিনকারাও গিত্তে বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করেছেন, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদিও শুক্রবার আগরতলায় অনুষ্ঠিত সর্বদল বৈঠকে বিরোধীরা এই উপ-নির্বাচন ঘিরে সংশয় প্রকাশ করেছেন।
এদিকে এই উপনির্বাচন বিজেপির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কয়েক সপ্তাহ আগেই বিপ্লব দেবকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদে আসীন হয়েছেন মানিক সাহা। ক্ষমতায় আসার পর এটাই তাঁর প্রথম নির্বাচন। এছাড়াও রাজ্যসভার সাংসদ মানিক সাহাও পরবর্তীতে উপনির্বাচনের সম্মুখীন হবেন। যদিও এখনও পর্যন্ত তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে এখনও উপনির্বাচনের ঘোষণা করা হয়নি। এখনও পর্যন্ত তিনি কোনওদিন নির্বাচনে লড়েননি। সেক্ষেত্রে নিজের কেন্দ্রে নির্বাচনের আগে একবার সেমিফাইনালে প্রস্তুতি পরখ করে নিতে পারবেন। এছাড়াও আগামী ফেব্রুয়ারিতেই বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা ত্রিপুরাতে। উপনির্বাচনে বিজেপি জয় পেলে আত্মবিশ্বাসী হবেন বিজেপির নেতারা।