আগরতলা: তৃণমূলের হয়ে সমীক্ষার কাজে ত্রিপুরায় গিয়ে আটকে পড়েছেন আইপ্যাকের সদস্যরা। প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার ২৩ সদস্যকে হোটেলেই ‘বন্দি’ করে রেখেছে বিপ্লব দেব প্রশাসন। এমনটাই দাবি তৃণমূলের। সূত্রের খবর, তাঁদের ছাড়াতে এ বার রাজ্যের মন্ত্রীরা পা রাখতে চলেছেন ত্রিপুরায়। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক-সহ অধুনা তৃণমূল নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ত্রিপুরায় পাঠানো হচ্ছে। এখানেই থেমে না থেকে এরপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও পা রাখতে চলেছেন বিজেপি শাসিত এই রাজ্যে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, বুধবার সকালে ৯ টা ২০-র বিমান ধরে ত্রিপুরায় যাচ্ছেন ব্রাত্য-মলয়রা। সেখানে পৌঁছে আগরতলার হোটেলে বন্দি আইপ্যাকের সদস্যদের মুক্ত করার যাবতীয় প্রক্রিয়া তাঁরা শুরু করবেন। এরপর বৃহস্পতিবার দিল্লি থেকে সোজা ত্রিপুরায় চলে যাবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কোভিড প্রোটোকলের ‘অজুহাতে’ আইপ্যাকের সংস্থার ২৩ সদস্যকে আটকে রাখা হয়েছে। এই নিয়ে ত্রিপুরার তৃণমূল রাজ্য সভাপতি আশিসলাল সিংয়ের বক্তব্য, “করোনা পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পরও তাঁদের হোটেল থেকে বেরোতে দেওয়া হয়নি। পরশু থেকে আইপ্যাকের সদস্যদের হেনস্থা করা হয়েছে।” এর প্রতিবাদে ত্রিপুরায় মিছিল করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি আগামী ১৬ অগস্ট যেভাবে গোটা পশ্চিমবঙ্গে ‘খেলা হবে’ দিবস পালনের ডাক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন, সেই মতো ত্রিপুরা জুড়েও এই কর্মসূচি পালনের ডাক দিয়েছেন রাজ্য সভাপতি। ওই দিন ত্রিপুরার পাহাড় থেকে সমতল, সর্বত্র ফুটবল বিলি এবং ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন আশিসলাল সিং। রাজ্যের বাইরেও সংগঠন বিস্তারের যে উদ্যোগ সম্প্রতি তৃণমূলের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে, তার সূচনা ত্রিপুরা থেকেই হবে বলে ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দিতে শুরু করেছে রাজ্যের শাসকদল। সেই প্রেক্ষিতে ঘাসফুলের একের পর পদক্ষেপ যে অত্যন্ত অর্থবহ, তা আলাদা করে বলার প্রয়োজন পড়ে না। আরও পড়ুন: প্রথা ভেঙে মুকুলকে পিএসি চেয়ারম্যান পদ কেন? জনস্বার্থ মামলা বিজেপি বিধায়কের