আগরতলা: ত্রিপুরা নিয়ে ক্রমাত রাজনৈতিক উত্তাপের মাঝেই এবার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। জানা গিয়েছে পানি সাগর মহকুমার হাম্পসাপাড়া ব্রু ক্যাম্পে মারাত্মক আগুন লেগেছে। আগুনের লেলিহান শিখা ইতি মধ্যেই ১৮ টি বাড়িকে গ্রাস করে নিয়েছে বলেই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআই। জানা গিয়েছে বাড়ি গুলিতে আটকে থাকা পরিবারগুলিকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে ত্রিপুরা সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন। তাদের সব রকমের সহায়তা করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে শর্ট সার্কিটের কারণেই এই ভয়াবহ অগিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
ব্রু বা রেয়াং হল উত্তর-পূর্ব ভারতের একটি আদিবাসী সম্প্রদায়। এদের বেশিরভাগই ত্রিপুরা, মিজোরাম এবং অসমে বসবাস করে। নব্বই দশকের শেষ দিক থেকে হাজারে হাজারে বাস্তুহার ব্রু সম্প্রদায়ের অধিবাসীরা ত্রিপুরায় ত্রাণ শিবিরে বসবাস করছে। হাম্পসাপাড়ার ত্রাণ শিবিরেও ব্রু সম্প্রদায়ের সদস্যরা বাস করতেন।মিজোরাম থেকে ত্রিপুরায় অভিবাসী ব্রু উদ্বাস্তুদের প্রত্যাবাসনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
মিজোরাম ব্রু ডিসপ্লেসড পিপলস ফোরামের (Mizoram Bru Displaced People’s Forum ) সাধারণ সম্পাদক ব্রুন শাহ জানিয়েছেন, শনিবার সকাল সাড়ে ৮ টা নাগাদ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, “এমবিডিপিএফ থেকে পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে এই অগ্নিকাণ্ডে ১৮ টি বাড়ি ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। আগুন ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে ১১ টি বাড়ি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। বিদ্যুৎ জনিত কোনও সমস্যার কারণেই আগুন লেগেছে।”
তিনি আরও জানিয়েছেন, এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কেউ মৃত বা আহত হননি। কিন্তু অনেক পরিবারের সদস্যরাই তাদের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র হারিয়ে ফেলেছেন। মশাহ বলেন, “সরকারের উচিৎ এই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা করা এবং তাদরে বসবাসের জন্য অস্থায়ী ঠিকানার বন্দোবস্ত করা। এটা নভেম্বর মাস, তাদের থাকা ব্যবস্থা না করলে তাঁরা ঠান্ডায় কষ্ট পাবেন।” উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে তাঁরা ব্রুদের সমস্যার স্থায়ী সমাধান খুঁজে পেয়েছেন। ত্রিপুরার ব্রু ও রেয়াংদের পুনর্বাসন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে এবং আগামী দিনে তাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।