আগরতলা: রাজ পরিবারের সদস্য তিনি। কিন্তু নিজের পকেট থেকে টাকা খরচ করে নয়, সাধারণ জনতার দেওয়া টাকাতেই বিধানসভা নির্বাচনে (Tripura Assembly Election) লড়বেন। বুধবার এমনটাই জানালেন ত্রিপুরার রাজপরিবারের সদস্য তথা তিপ্রা মথার প্রধান প্রদ্যোত বিক্রম মানিক্য দেববর্মণ (Pradyot Bikram Manikya Deb Barma)। তিনি জানান, চাঁদা তুলেই তিনি ত্রিপুরার আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে লড়বেন। ক্রাউড ফান্ডিংয়ের (Crowd Funding) মাধ্যমে তিনি নির্বাচনে লড়ার মতো প্রয়োজনীয় টাকা সংগ্রহ করবেন। এর জন্য কোন ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্টে টাকা পাঠাতে হবে, তার বিস্তারিত তথ্যও দিয়ে টুইট করেছেন তিনি।
আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রচার শুরু করে দিয়েছে। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি, সিপিআইএমের সঙ্গে সমানে সমানে লড়াই করতে মাঠে নেমেছে এ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসও। এর আগে ত্রিপুরার উপ-নির্বাচনে লড়লেও, তৃণমূল একটিও আসন দখল করতে পারেনি। এবারের বিধানসভা নির্বাচন তাই তৃণমূলের কাছে অগ্নিপরীক্ষাও বটে। অন্যদিকে, ২০২১ সালেই ত্রিপুরা ট্রাইবাল এরিয়াস অটোনমাস ডিসট্রিক্ট কাউন্সিলের নির্বাচনে জয়ী হয়ে নিজেদের অস্তিত্বের প্রমাণ দিয়েছিল তিপ্রা মথা। এবারের বিধানসভার নির্বাচনেও তারা লড়বেন বলে জানিয়েছিলেন সম্প্রতি।
We are a small party and we have said that to change the system we need transparency. Anyone wanting to donate for our election this is the ac Tipra motha party
A/c no:- 503310110010108
IFSC- BKID0005033
BANK OF INDIA— Pradyot_Tripura (@PradyotManikya) February 1, 2023
বুধবারই ত্রিপুরার রাজপরিবারের সদস্য প্রদ্যোত দেববর্মণ টুইট করে বলেন, “আমরা একটা ছোট দল। বর্তমানে রাজ্যে যে পরিস্থিতি, তাতে স্বচ্ছতা আনা প্রয়োজন। কেউ যদি নির্বাচনে আমাদের তহবিলে আর্থিক অনুদান দিতে চান, তবে এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বরে টাকা পাঠাতে পারেন।”
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ত্রিপুরার আদিবাসী নির্বাচনে তিপ্রা মথা জয়ী হওয়ার পর থেকেই শাসক দল বিজেপির অস্বস্তি বেড়েছিল। সম্প্রতিই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিপ্রা মথা দলের প্রধান প্রদ্যোত দেববর্মণ। কিন্তু সেই বৈঠক অসফলই রয়ে যায়। এরপরই ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে এককভাবে লড়ার কথা ঘোষণা করে তিপ্রা মথা দল।৬০টি আসনের মধ্যে ৪২টিতে লড়বে প্রদ্যোত দেববর্মণের দল।
প্রদ্যোতের দাবি ছিল গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের। তিনি নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই জানিয়েছিলেন, যে দল লিখিতভাবে গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড গড়ার প্রতিশ্রুতি দেবে, তার সঙ্গে জোট বাঁধতে রাজি। কিন্তু তৃণমূল বা বিজেপি, কোনও দলই লিখিতভাবে সেই প্রতিশ্রুতি দিতে রাজি না হওয়ায় কারোর সঙ্গেই জোটের আলোচনা সফল হয়নি।