ত্রিপুরা: ত্রিপুরায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হটাতে এবার জোট বাঁধছে বাম ও কংগ্রেস। নির্বাচনী দামামা বাজার পর থেকে এমনটাই শোনা গিয়েছিল। কিন্তু, বাম-কংগ্রেসের আসন সমঝোতায় জট পেকেছে! কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর এমন প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে উত্তর-পূর্বের রাজ্যের রাজনীতির অন্দরে। পরোক্ষে বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছে বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্বও। তাহলে কি একলা চলো নীতি নিয়েই এগোবে বামেরা? সিপিএম সূত্রে খবর, এ রাজ্যের পোড় খাওয়া বাম নেতা থেকে শুরু করে যুব নেতৃত্ব সকলেই থাকবেন ত্রিপুরার ভোটের প্রচারে।
একদিকে যখন বিজেপি, কংগ্রেস ও তৃ়ণমূল কংগ্রেস প্রচারকদের তালিকায় ফিল্মি তারকাদের ছড়াছড়ি। সেই সময় সিপিএম-এর স্টার প্রচারক হয়ে ত্রিপুরায় যাবে এ রাজ্যের একাধিক মুখ। বাম শিবির সূত্রে খবর, প্রবীণ নেতাদের (Senior) মধ্যে থাকবেন মহম্মদ সেলিম, রামতন্দ্র ডোম, সুজন চক্রবর্তী, বিকাশ ভট্টাচার্য, তন্ময় ভট্টাচার্য সহ একাধিক নেতৃত্ব। অপরদিকে, যুবদের মধ্যে থাকবেন হিমাঙ্গরাজ ভট্টাচার্য, শতরূপ ঘোষ, মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ ও দীপ্সিতা ধররা।
প্রসঙ্গত, সামনেই ত্রিপুরা নির্বাচন। কোমর বেঁধে নেমেছে প্রতিটি দল। তবে পশ্চিমবঙ্গে মতো ত্রিপুরাতেও বামেরা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে লড়বে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। সেজন্য বামেদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতেও দেরি হয়। তবে নানা জটিলতা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত ১৩টি আসন কংগ্রেসকে দিয়ে সমঝোতায় আসে দুই শিবির। প্রথমদিকে, ২০-র বেশি আসন দাবি করলেও পরে ১৮টি আসন চেয়েছিলেন বীরজিৎ সিংরা অর্থাৎ হাত শিবির। যদিও সেটাও দেওয়া সম্ভব নয় বলে বীরজিৎদের জানিয়েছিলেন বাম নেতৃত্ব জিতেন্দ্র চৌধুরী, নারায়ণ কররা। শেষ পর্যন্ত ১৩ টি আসন কংগ্রেসের জন্য রেখে তালিকা প্রকাশ করেন তাঁরা। কিন্তু, বামেদের এই সিদ্ধান্তে যে হাত শিবির সহমত হতে পারেনি, তা এদিন তাদের কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকাতেই প্রকাশ পায়।
যদিও প্রদেশ সভাপতি বীরজিৎ সিংয়ের আশা, আলোচনার মাধ্যমে জটিলতা কেটে যাবে। বাম নেতৃত্বও একই আশার কথা বলছেন। তবে শেষ পর্যন্ত কী হয়, আদৌ বাম-কংগ্রেস জোট থাকে কিনা এবং জোট হলেও তারা সফল হয় কিনা, সেটাই দেখার!