আগরতলা : অবশেষে প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর জামিন পেলেন যুব তৃণমূলের (Trinamool Congress) সভানেত্রী সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। আজ দুপুরে তাঁকে আগরতলার পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা আদালতে (Tripura Court) পেশ করা হলে সেখানে তাঁর জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন তৃণমূলের আইনজীবীরা। শেষ পর্যন্ত তাঁর জামিন মঞ্জুর হয়েছে।
আজ জামিন পাওয়ার পর সায়নী ঘোষ জানিয়েছেন, “ত্রিপুরায় অপশাসন চলছে। মানুষ দেখছে, মানুষ বিচার করবে। পুলিশ, সিআরপিএফ দিয়ে টার্গেট করা হচ্ছে।” বিপ্লব দেবের সরকারের বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি।
আজ সকালেই সায়নীকে দেখতে থানায় পৌঁছে গিয়েছিলেন ব্রাত্য বসু, কুণাল ঘোষ, সুস্মিতা দেবরা। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সঞ্জয় বসু, শঙ্কর লোধ এবং অগ্নিশ বসুও। থানায় সায়নীর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ আইনি আলোচনায় করেন ওই তিন আইনজীবী। এরপর আজ দুপুরে সায়নীকে আদালতে পেশ করা হলে সেখানে তাঁর জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন আইনজীবীরা। শেষ পর্যন্ত আদালতে তাঁর জামিন মঞ্জুর হয়েছে। শেষ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সায়নীকে নিয়ে পোলো টাওয়ারের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
আজ সায়নীকে আদালতে পেশ করা হলে সেখানে সরকার পক্ষের আইনজীবীর তৃণমূল যুবনেত্রীর দুই দিনের পুলিশি হেফাজতের দাবি জানান। উল্লেখ্য, অভিযোগকারীর বক্তব্য ছিল, সায়নী নাকি গাড়ি থেকেই তাঁর দিকে ঢিল ছুড়েছিলেন। আবার পুলিশের বক্তব্য, সায়নী গাড়ি থেকে নেমে ঢিল ছুড়েছিলেন। এই নিয়েও একটি ধোঁয়াশা ছিল।
এদিকে তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষের পক্ষের আইনজীবী শঙ্কর হালদার জানিয়েছেন, “আমরা ৪৩৭ ধারার ১ নম্বর উপধারার আওতায় তাঁর জামিন চেয়েছি। যদিও পুলিশ দুই দিনের রিমান্ড চেয়েছিল, কিন্তু লিখিত অভিযোগের সঙ্গে যা বলা হচ্ছে তা মিলছে না।”
সায়নীর জামিনের পর বঙ্গ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, “আইন আইনের পথে চলবে। যদি তিনি কোনও অপরাধ করে থাকেন তাহলে সাজা পাবেন, অপরাধ না করলে সাজা পাবেন না। জামিন পেয়েছেন, স্বাগত জানাই। বাড়ি ফিরে আসুন, খান-দান, সিনেমা করুন।”
এদিকে ত্রিপুরায় নেতা- নেত্রীদের ওপর আক্রমণের ঘটনায় মানবাধিকার কমিশনের হস্তক্ষেপ চাইছে তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে যে কোনও ঘটনায় মানবাধিকার কমিশন সক্রিয় হলেও বিজেপি শাসিত রাজ্যে ক্ষেত্রে তা নয়। তাই তৃণমূল চাইছে, অবিলম্বে যেন চেয়ারম্যান নিজে ত্রিপুরা যান অথবা কোনও প্রতিনিধি পাঠান। প্রতিনিয়ত সে রাজ্যে যে রাজনৈতিক সন্ত্রাস চলছে, তাতে মানবাধিকার কমিশনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছে দলীয় নেতৃত্ব। উল্লেখ্য, ত্রিপুরার ঘটনা নিয়ে আজ বিকেলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গেও দেখা করেন তৃণমূল সাংসদরা।
আরও পড়ুন : TMC in Tripura: বাংলায় হলে ত্রিপুরায় নয় কেন! মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল