রাজনৈতিক ডামাডোলের মাঝেই নাড্ডার দরবারে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী, কী নিয়ে আলোচনা?

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Aug 11, 2021 | 1:01 PM

দলের অন্দরে বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে ক্ষোভ, অন্যদিকে ত্রিপুরায় তৃমমূলের সক্রিয় হয়ে ওঠা নিয়ে ইতিমধ্যেই চাপে রয়েছেন বিপ্লব দেব।

রাজনৈতিক ডামাডোলের মাঝেই নাড্ডার দরবারে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী, কী নিয়ে আলোচনা?
ফাইল চিত্র।

Follow Us

নয়া দিল্লি: প্রতিবেশী রাজ্য দখলে নেমেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। ইতিমধ্যেই বিজেপি সরকারের সঙ্গে সংঘর্ষেও জড়িয়েছে তৃণমূল। আজই পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) সহ ৫ তৃণমূল নেতার নামে এফআইআর (FIR) দায়ের হয়েছে। এরই মাঝে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)-র সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দিল্লি যাচ্ছেন ত্রিপুরার মুখ্য়মন্ত্রী বিপ্লব দেব (Bipab Kumar Deb)।

সূত্র অনুযায়ী, এ দিন বিকেল ৪টে ৪৫ মিনিটের বিমানে দিল্লি যাবেন বিপ্লব দেব। সেখানেই তিনি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করবেন। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, পূর্বপরিকল্পিত বৈঠকেই যোগ দিতে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে সূত্র অনুযায়ী, আইপিএফটি ইস্যু নিয়ে কথা বলতে পারেন জেপি নাড্ডা।

একদিকে, দলের অন্দরে বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে ক্ষোভ, অন্যদিকে ত্রিপুরায় তৃমমূলের সক্রিয় হয়ে ওঠা নিয়ে ইতিমধ্যেই চাপে রয়েছেন বিপ্লব দেব। এর উপর বিষফোঁড়ার আকার নিচ্ছে আইপিএফটি-র সঙ্গে জোট। এপ্রিল মাসেই ত্রিপুরায় উপজাতি অধ্যুষিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজেপি-আইপিএফটি জোটের পরাজয়ের কারণেও অসন্তুষ্ট দলের শীর্ষর্কতারা। নির্বাচনের আগে থেকেই আইপিএফটির একাধিক নেতা দাবি জানিয়েছিলেন, তারা বিজেপির সঙ্গে নয়, উপজাতি অধ্যুষিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে একাই লড়তে চান। শেষ অবধি জোটেই লড়লেও নতুন দল তথা ত্রিপুরা রাজ পরিবারের উত্তরসূরী প্রদ্যোত দেববর্মনের দল তিপরা ২৮টি আসনের মধ্যে ১৮টি আসনে জয়লাভ করে। বিজেপি-আইপিএফটি জোট পায় মাত্র ৯টি আসন। এই পরিস্থিতিতে ১৭ মাস বাদে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির অবস্থান কী হবে, তা নিয়ে সংশয় দূর করতেই এই বৈঠক হতে পারে।

এছাড়াও মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ নিয়েও আলোচনা হতে পারে। গত ১৫ জুলাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ নিয়ে সূত্রের খবর ছিল, মন্ত্রিসভা থেকে কোনও মন্ত্রীকে বাদ দেওয়া হবেনা। বরং ক্যাবিনেটে যে চারটি আসন ফাঁকা রয়েছে, তাতেই কমপক্ষে দুইজন নতুন মুখকে আনার পরিকল্পনা চলছে। বদল করা হতে পারে স্পিকারও। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার আগে তিনি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী, ধর্মেন্দ্র প্রধান ও জি কিষাণ রেড্ডির সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তবে তা সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল বলেই জানা গিয়েছে। সেই সময়ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গেও দেখা করেন তিনি, সেই বৈঠকে বিভিন্ন দলীয় সমস্যার কথা তুলে ধরেছিলেন। আরও পড়ুন: ‘আমি বিনিদ্র রাত কাটিয়েছি’, অধিবেশনের শুরুতেই কেঁদে ফেললেন বেঙ্কাইয়া নাইডু  

 

Next Article