আরও বিপাকে ত্রিপুরা কংগ্রেস, পদত্যাগ করলেন প্রদেশ সহ-সভাপতি

TV9 Bangla Digital | Edited By: সৈকত দাস

Sep 04, 2021 | 6:34 PM

Tapas Dey: জল্পনা সত্য়ি প্রমাণ করে ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি সহ যাবতীয় পদ থেকে ইস্তফা দিলেন প্রাক্তন বিধায়ক তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তাপস দে। এরপরই নতুন করে সমস্য়ার মুখোমুখি ত্রিপুরা কংগ্রেস।

আরও বিপাকে ত্রিপুরা কংগ্রেস, পদত্যাগ করলেন প্রদেশ সহ-সভাপতি
তাপস দে

Follow Us

আগরতলা: জল্পনা সত্য়ি প্রমাণ করে ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি সহ যাবতীয় পদ থেকে ইস্তফা দিলেন প্রাক্তন বিধায়ক তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তাপস দে। এরপরই নতুন করে সমস্যার মুখোমুখি ত্রিপুরা কংগ্রেস। এক সপ্তাহ আগেই নেতৃত্ব দেওয়া নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে মতভেদের জেরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়ান পীযূষ কান্তি বিশ্বাস। পরে তিনি এআইসিসি নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে অবশ্য পদত্য়াগপত্র প্রত্য়াহার করেন। আর তার পর তাপসবাবুর এই পদত্য়াগে বিধানসভা নির্বাচনের দেড় বছর আগে নতুন করে সাংগঠনিক সঙ্কটে ত্রিপুরা কংগ্রেস।

এদিন আগরতলায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তাপস দে বলেন, ইতিমধ্য়েই তিনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির কাছে পদত্য়াগ পত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। সহ-সভাপতির পাশাপাশি সোশ্য়াল মিডিয়া প্রধানের দায়িত্ব থেকেও তিনি পদত্য়াগ করেছেন। ত্রিপুরা রাজ পরিবারের মালিকানাধীন মালঞ্চ নিবাসে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিকের সঙ্গে তাপসবাবুর একটি ছবি প্রকাশ্য়ে আসে। মুহূর্তে সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় সেই ছবি। এ নিয়ে দলবদলের আবহে জল্পনার জল গড়িয়েছে। তাঁর বক্তব্য থেকে জানতে পারা গিয়েছে, এই ছবিকে কেন্দ্র করে যে রাজনৈতিক জল্পনা জন্ম নেয়, তার প্রেক্ষিতেই এই পদত্য়াগের সিদ্ধান্ত।

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে লেখা চিঠিতে তাপস দে জানিয়েছেন “ত্রিপুরা রাজ পরিবারের রাজমাতা, প্রাক্তন সাংসদ এবং এআইসিসি সদস্য়া বিভু কুমারী দেবীর সঙ্গে আমি সৌজন্য় সাক্ষাতে গিয়েছিলাম। কাকতালীয় ভাবে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমাদেবীও রাজমাতা বিভু কুমারী দেবীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য় এসেছিলেন। আমাদের দেখা হয়। সৌজন্য় বিনিময়ের পাশাপাশি রাজ্য়ের উন্নয়নমূলক কিছু প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কোনও রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কথা হয়নি।” চিঠিতে তিনি আরও লেখেন, সংগঠনের যাবতীয় পদ থেকে তিনি ইস্তফা দিচ্ছেন এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি চাইলে দলের প্রাথমিক সদস্য়পদও ছেড়ে দিতে রাজি। এদিকে ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পীযূষ কান্তি বিশ্বাসকে এই ব্য়াপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান পদত্য়াগের কোনও চিঠি তাঁর হাতে আসেনি।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্য়ুকে কেন্দ্র করে বারবার সংবাদ শিরোনামে উঠে আসছে উত্তর পূর্বের এই ছোট রাজ্য়টি। তৃতীয় বারের জন্য় বিপুল সংখ্য়া গরিষ্ঠতা নিয়ে বাংলার মসনদ দখল করার পর ত্রিপুরা জয় নিয়ে যথেষ্ঠ আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল। ইতিমধ্য়েই সংগঠনকে মজবুত করতে বেশ কয়েকবার ত্রিপুরাতে গিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়-সহ রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী ও নেতা। বিপ্লব দেব পরিচালিত বিজেপি সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়ে নিয়মিত পথে নামছে তারা। পাল্টা রাজনৈতিক কর্মসূচী নিচ্ছে বিজেপিও। তার ওপর ত্রিপুরার রাজনীতিতে ক্রমে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়া কংগ্রেসের এই দলীয় কোন্দল শতাব্দী প্রাচীন দলটিকে আরও দুর্বল করবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আরও পড়ুন: “মানুষ হিসেবেও অত্যন্ত সজ্জন…” এন ভি রামনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সলিসিটর জেনারেল 

Next Article