Biplab Deb: রাজ্য থেকে জাতীয় রাজনীতিতে উড়ান, এবার রাজ্যসভায় যাচ্ছেন বিপ্লব দেব

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Sep 10, 2022 | 6:55 AM

Biplab Deb: ত্রিপুরার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা রাজ্যসভার যে পদ ছেড়ে এসেছিলেন, সেই শূন্যপদেই বিপ্লব দেবকে প্রার্থী হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে।

Biplab Deb: রাজ্য থেকে জাতীয় রাজনীতিতে উড়ান, এবার রাজ্যসভায় যাচ্ছেন বিপ্লব দেব
রাজ্যসভার প্রার্থী হচ্ছেন বিপ্লব দেব।

Follow Us

আগরতলা: নির্বাচনের আগেই হারিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর গদি। মুখে না বললেও, তা নিয়ে দুঃখ ছিল অনেক। এবার সেই দুঃখ মিটতে চলেছে ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের। বিজেপির তরফে তাঁকে এবার রাজ্যসভার প্রার্থী করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী পদ খোয়ানোর পর এতদিন কোনও গুরু দায়িত্ব পাননি বিপ্লব দেব। সম্প্রতিই তাঁকে বিজেপির হরিয়ানা রাজ্য ইনচার্জের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপরই ঘোষণা হয় যে, রাজ্যসভার নির্বাচনে প্রার্থী করা হচ্ছে ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। বিজেপির এই সিদ্ধান্তে তাঁর রাজনৈতিক পুনর্বাসন হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

২৫ বছরের বাম শাসন থেকে ত্রিপুরাকে মুক্ত করে ২০১৮ সালে রাজ্যে গেরুয়া ঝড় তুলেছিলেন বিপ্লব দেবই। নির্বাচনে দারুণ ফলের পিছনে বিপ্লব দেবের জনপ্রিয়তাও বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল। ২০১৮ সালের ৯ মার্চ তিনি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন। তবে মেয়াদ পূরণের আগেই, চলতি বছরের ১৪ মে তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তাঁর জায়গায় ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন মানিক সাহা।

এরপরে বেশ কিছুদিন আড়ালেই থাকলেও, শুক্রবার বিজেপির তরফে ঘোষণা করা হয় যে আসন্ন রাজ্যসভা উপনির্বাচনে ত্রিপুরা থেকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে প্রার্থী করা হচ্ছে। দলের তরফে এই ঘোষণার পরই টুইট করে শীর্ষ নেতৃত্বদের ধন্যবাদ জানান বিপ্লব দেব। তিনি টুইট করে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহজী, জেপি নাড্ডাজী ও গোটা বিজেপিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই আমায় ত্রিপুরা থেকে রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে মনোনীত করার জন্য। আমি ত্রিপুরা ও রাজ্যের মানুষদের উন্নয়ন ও কল্যাণের লক্ষ্যে কাজ করে যাব।”

উল্লেখ্য, ত্রিপুরার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা রাজ্যসভার যে পদ ছেড়ে এসেছিলেন, সেই শূন্যপদেই বিপ্লব দেবকে প্রার্থী হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই তিনি রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। আগামী ২০২৮ সালের এপ্রিল মাস অবধি তাঁর সাংসদ পদের মেয়াদ থাকলেও, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণার পরই তিনি রাজ্যসভার পদ ছেড়ে দেন। নির্বাচন কমিশনের তরফে ওই শূন্যপদে উপনির্বাচনের ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর হতে চলেছে রাজ্যসভার উপনির্বাচন।

আগামী বছরের শুরুতেই রয়েছে ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচন। একদিকে বিজেপি যেমন দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতা দখলে মরিয়া, একইভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসও প্রতিবেশী রাজ্যে নিজেদের জায়গা তৈরি করে নিতে উঠে পড়ে লেগেছে।

Next Article