নয়া দিল্লি: ৭৪ সপ্তাহের পরিশ্রম। অবশেষে ফল মিলল। বাকি সমস্ত চ্যানেলকে পিছনে ফেলে দেশের জাতীয় হিন্দি সংবাদ চ্যানেল হিসেবে এক নম্বর স্থানে উঠে এল টিভি৯ ভারতবর্ষ। টিভি নিউজ চ্যানেলগুলির দর্শক সংখ্যার হিসেব প্রকাশিত হয় বার্ক-র রিপোর্টে। দীর্ঘদিন টিআরপির রেটিং বন্ধ থাকার পর গতকালই প্রকাশিত হয় বার্কের রিপোর্ট, আর তাতেই দেখা যায় জাতীয় স্তরের সমস্ত হিন্দি সংবাদমাধ্যমকে পিছনে ফেলে এক নম্বর স্থানে উঠে এসেছে টিভি৯ ভারতবর্ষ। চ্যানেলের বর্তমান মার্কেট শেয়ার ১৬.৮ শতাংশ।
শুধুমাত্র টিভি৯ ভারতবর্ষই নয়, টিভি৯ নেটওয়ার্ক দেশের বৃহত্তম নিউজ নেটওয়ার্ক হিসেবে এক নম্বর স্থানই দখল করে রেখেছে, যার অধীনে রয়েছে আরও ৫টি ভাষার সংবাদমাধ্যম- তেলুগু, কন্নড়, মারাঠি, গুজরাটি ও বাংলা। টিভি৯ নেটওয়ার্কের অধীনে থাকা তিনটি চ্যানেলই ১ নম্বর স্থানে রয়েছে। বাকি চ্যানেলগুলিও শীর্ষ তালিকাতেই স্থান দখল করেছে। টিভি৯ নেটওয়ার্কের প্রতি মিনিটে গড় দর্শকসংখ্যা ২৯ কোটি ২ লক্ষ, যা তার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী জ়ি নেটওয়ার্কের থেকে ২৫ শতাংশ বেশি।
এই রিপোর্টের হাত ধরেই টিভি৯ ভারতবর্ষ হিন্দি সংবাদমাধ্যমে ইতিহাস গড়েছে। টিভি৯ ভারতবর্ষ পিছনে ফেলে দিয়েছে আজ তক সংবাদমাধ্যমকে, যা বর্তমানে ১৪.৮ শতাংশ মার্কেট শেয়ার নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এ ক্ষেত্রে উল্লেখ করা উচিত, আজ তক ২০ বছর ধরেই হিন্দি সংবাদমাধ্যম হিসেবে রাজত্ব করছে। অন্যদিকে, টিভি৯ ভারতবর্ষ তিন সপ্তাহ পরই তাদের তৃতীয় বর্ষ পূরণ করবে।
টিভি৯ ভারতবর্ষ যেসমস্ত উল্লেখযোগ্য সংবাদকে দর্শকদের সামনে তুলে ধরেছে, তা হল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, করোনা অতিমারি এবং উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন। সম্পাদকীয় দক্ষতা, নিউজরুমের উদ্ভাবনী চিন্তাধারা, অসাধারণ প্যাকেজিং ও গ্রাউন্ড রিপোর্ট- এই সমস্ত বিষয়ই টিভি৯ ভারতবর্ষকে এক নম্বর স্থানে তুলে এনেছে। বিগত দুই বছর ধরেই এক নম্বর স্থানই দখল করে রেখেছে টিভি৯ ভারতবর্ষ।
এই দারুণ সাফল্য নিয়ে টিভি৯ নেটওয়ার্কের সিইও বরুণ দাস বলেন, “বার্কের রিপোর্ট সেই তথ্যই প্রকাশ করল, যা কিছু মানুষ লুকিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন। আমরা সবসময়ই জানতাম যে শীর্ষ নেতৃত্বে থাকার জন্যই তৈরি। আমি অত্য়ন্ত খুশি যে আজ রেটিং প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে আমাদের নেতৃত্বকে তুলে ধরেছে।”
বরুণ দাসের কথার সূত্র ধরেই গ্রুপ এডিটর বিভি রাও বলেন, “এটা স্পষ্ট যে বার্কের রিপোর্ট আটকে সেরাকে আটকানো যায় না”। টিভি৯ ভারতবর্ষের নিউজ ডিরেক্টর হেমন্ত শর্মাও বার্কের রিপোর্ট নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, “বিশ্বাসযোগ্য সাংবাদিকতার জয় হয়েছে।”