আরও পড়ুন: Uttarakhand Village Curse: ৪০০ বছর পুরনো অভিশাপ থেকে বাঁচতে হোলি উদযাপন করে না এই তিনটি গ্রাম!
ইটানগর: সমাজের অগ্রগতি হলেও, মানসিকতা এখনও যে বহু যুগ পিছিয়েই রয়েছে, তার প্রমাণ মিলল আরও একবার। ঋতুচক্র চলাকালীন মহিলাদের ছুটি দেওয়ার প্রস্তাব পেশ করা হয়েছিল বিধানসভায়। কিন্তু আলোচনা তো দূরের কথা, ‘নোংরা’ বিষয় বলে খারিজ করে দেওয়া হয় সেই প্রস্তাব। সদস্যদের মতে, বিধানসভা একটি পবিত্র জায়গা। সেখানে এই সমস্ত অপবিত্র বিষয় নিয়ে আলোচনা করা উচিত নয়। ঘটনাটি ঘটেছে অরুণাচল প্রদেশের বিধানসভায়।
গত ১১ মার্চ কংগ্রেসের বিধায়ক নিনং এরিং মহিলাদের ঋতুচক্র চলাকালীন ছুটি দেওয়ার একটি প্রস্তাবনা পেশ করেন। তিনি বিধানসভায় বলেন, ঋতুচক্র চলাকালীন মহিলাদের কষ্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, বিশেষ করে ঋতুচক্রের প্রথম দিন। এই দিনটিতে যদি তাদের ছুটি দেওয়া যায়, তবে ভাল হয়।
তবে এই প্রস্তাবনা গ্রাহ্য করা তো দূরের কথা, ওই বিষয়টি আলোচনা করার যোগ্যও নয়। ‘দ্য হিন্দু’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিজেপির বিধায়ক লোখাম তাসার দাবি করেন যে, বিধানসভা অত্যন্ত পবিত্র স্থান। এখানে এইসমস্ত নোংরা বিষয় নিয়ে আলোচনা করা উচিত নয়। এটা রাজ্য মহিলা কমিশনের দেখা উচিত।
একইসঙ্গে তিনি বলেন, “ঋতুমতী মহিলাদের উচিত রান্নাঘর থেকে দূরে থাকা উচিত। ওই কয়েকদিন কাউকে নিজেদের কাছে আসতে দেওয়াও উচিত নয়”। অপর এক বিজেপি বিধায়ক, তানা হালি বলেন, “নিয়াসিদের প্রথাই রয়েছে ‘অপবিত্র’ সময়ে মহিলারা পুরুষদের সঙ্গে বসে খাবার খেতে পারেন না। বিহার বা কেরলে হয়তো এই দিনগুলির জন্য ছুটি দেওয়া হতে পারে, কিন্তু এখানে তা সম্ভব নয়।”
অপর এক বিজেপি সদস্য ন্যাটো রিগিয়া স্বীকার করে নেন যে, ঋতুচক্র চলাকালীন মহিলারা যথেষ্ট কষ্টে থাকেন। কিন্তু ওই দিনটির জন্য ছুটি দেওয়ার কোনও যুক্তি নেই। এই ধরনের ছুটি দেওয়া হলে মহিলারা ইচ্ছামতো ছুটি নেবেন এবং ঋতুচক্রের বাহানা বানাবেন। অপর এক বিজেপি কর্মী বলেন, এই বিষয়টি মহিলাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তবে বিধানসভায় সেই বিষয়ে কথা বলা উচিত নয়।