দেশে তৃতীয় গ্রিভেন্স অফিসার নিয়োগ টুইটারের, কে তিনি?
নয়া ডিজিটাল আইন আসার পর প্রথমে না মানলেও কেন্দ্রের 'শেষ নোটিসে' নিয়ম মানতে রাজি হয় টুইটার।
নয়া দিল্লি: কেন্দ্রের সঙ্গে টুইটারের (Twitter) সংঘাত চরমে। ভারতে একাধিক এফআইআর দায়ের হয়েছে জ্যাক ডোরসের সংস্থার বিরুদ্ধে। এই অবস্থায় ডিজিটাল আইন মেনে নিতে গ্রিভেন্স অফিসার নিয়োগ করল টুইটার। নয়া ডিজিটাল আইন কার্যকরী হওয়ার পর এই নিয়ে তৃতীয় গ্রিভেন্স অফিসার নিয়োগ করল টুইটার। ধর্মেন্দ্র চতুর, জেরেমি কেসেলের পর এ বার তৃতীয় গ্রিভেন্স অফিসার হলেন বিনয় প্রকাশ।
নয়া ডিজিটাল আইন আসার পর প্রথমে না মানলেও কেন্দ্রের ‘শেষ নোটিসে’ নিয়ম মানতে রাজি হয় টুইটার। তবে তারপরেও প্রয়োজনীয় তথ্য না পৌঁছনয় কেন্দ্র টুইটারের আইনি রক্ষাকবচ কেড়ে নেয়। তারপর অবশ্য টুইটার ধর্মেন্দ্র চতুর নামে এক ব্যক্তিকে গ্রিভেন্স অফিসার হিসেবে নিয়োগ করে। কিন্তু কেন্দ্র আপত্তি জানিয়ে নির্দেশ দেয়, এই স্থায়ী পদের জন্য টুইটার তৃতীয় কোনও সংস্থার ব্যক্তি নিয়োগ করতে পারবে না। এরপর টুইটার মার্কিন কর্মচারী জেরেমি কেসেলকে গ্রিভেন্স অফিসার হিসেবে নিয়োগ করে। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও নিয়ম ভঙ্গ হয়। কারণ, নয়া ডিজিটাল নিয়মে সাফ জানানো ছিল, গ্রিভেন্স অফিসারকে ভারতীয় হতে হবে।
এরপরই নাম এল বিনয় প্রকাশের। টুইটার নিজেদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, বিনয় প্রকাশ ভারতে তাদের অন্তর্বর্তী রেসিডেন্ট অফিসার। তাঁর ইমেল আইডি দিয়ে টুইটার জানিয়েছে, যে কোনও ক্ষেত্রে যোগাযোগ করা যাবে তাঁর সঙ্গে। পাশাপাশি টুইটার নিজেদের ঠিকানা, ১২১ ডিকেনসন রোডেরও হদিশ দিয়েছে তাদের ওয়েবসাইটে। এ ছাড়া এ দিন কমপ্লায়েন্স রিপোর্টও প্রকাশ করেছে টুইটার। উল্লেখ্য, টুইটারের বিরুদ্ধে দেশে একাধিক এফআইআর হয়েছে। মানচিত্র বিতর্ক থেকে শুরু করে চাইল্ড পর্ন, বিভিন্ন বিষয়ে আইনি জটিলতায় রয়েছে টুইটার। এ বার এই নিয়োগের মাধ্যমে কেন্দ্র ও টুইটার সংঘাতের ইতি হয় কি না, সেটাই দেখার। আরও পড়ুন: রানি কেতেভান জুড়েছে ভারত-জর্জিয়াকে, অস্থি হস্তান্তরেই সূচনা নতুন কূটনৈতিক সম্পর্কের?