নয়া দিল্লি: টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ‘ব্লু টিক’ (নীল রঙের টিক চিহ্ন) অপসারণের অভিযোগে টুইটার সংস্থাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন প্রাক্তন অন্তর্বর্তীকালীন সিবিআই ডিরেক্টর এম নাগেশ্বর রাও। তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দিলেও, বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর), দিল্লি হাইকোর্ট এই অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসারের উপর আরোপিত জরিমানা মকুফ করেছে। এই আগে তাঁকে এই আবেদন করার জন্য ২৫,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। এর জবাবে আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে এম নাগেশ্বর রাও বলেছিলেন, “আমি একজন পেনশনভোগী, শুধুমাত্র আমার পরিচয় সুরক্ষিত করার জন্যই এই আবেদন করেছিলাম।”
এদিন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত ভার্মা, এম নাগেশ্বর রাও-এর উপর আরোপিত জরিমানা মকুফ করে বলেন, “আবেদনকারীর পক্ষ থেকে যে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়েছে তা মাথায় রেখে, ২০২২ সালের ১৭ মের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে যে জরিমানা ধার্য করা হয়েছিল, তা মুছে ফেলা হবে।” প্রসঙ্গত গত মে মাসেই, আদালত তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে যাচাইকরণ ট্যাগ মুছে ফেলার বিরুদ্ধে নাগেশ্বর রাও-এর আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল। আদালত বলেছিল, “৭ এপ্রিলের রিট পিটিশনের নিষ্পত্তি করা হয়েছিল। সেই প্রেক্ষিতে এই রিট পিটিশনটি দাখিল করার নিশ্চয়তা দেওয়ার মতো কোনও যুক্তি নেই।”
তার আগে চলতি বছরের ৭ এপ্রিল, আদালত নাগেশ্বর রাওকে তার অভিযোগের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার স্বাধীনতা দিয়েছিল। তবে শর্ত ছিল যদি টুইটার সংস্থার পক্ষ থেকে কোনও প্রতিকূল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তাহলেই তিনি ওই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। নয়া আবেদনে নাগেশ্বর রাও বলেছিলেন, আদালতের আদেশ অনুসারে তিনি যাচাইকরণ ট্যাগের জন্য পুনরায় আবেদন করছিলেন, তবে তা পুনর্বহাল করা হয়নি। রাও আরও দাবি করেন, টুইটারে তাঁর অ্যাকাউন্টে বর্তমানে নীল টিক রয়েছে ঠিকই, তবে ২০২২ সালের মার্চ মাসে তা সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
তাঁর আবেদনে, নাগেশ্বর রাও আরও দাবি করেছিলেন যে, কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এক বা একাধিক কমপ্লায়েন্স এবং গ্রিভেন্স আধিকারিক নির্দিষ্ট করা হোক। তাঁরা একচেটিয়াভাবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের অভিযোগ শুনবেন এবং ব্যবস্থা নেবেন। টুইটার, ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির আইন ও নিয়ম মেনে চলছে কিনা, সেই বিষয়ে ব্যবহারকারীরা তাঁদের কাছে অভিযোগ জানাতে পারবেন। তিনি আরও বলেছিলেন, ব্যবহারকারীদের পরিচয় যাচাইকরণ ব্যবস্থা নির্ভুল না হওয়ার ফলে মানুষ অপ্রয়োজনীয় হয়রানির শিকার হয়ে থাকেন।