নয়া দিল্লি: সকাল থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে টুইটার (Twitter)। কারণ এ দিন সকালেই ভারতের উপ রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু(M Venkaiah Naidu)-র টুইটার প্রোফাইল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় নীল টিক (Blue Tick) চিহ্ন। যদিও বিতর্কের মুখে পড়ে কয়েক ঘণ্টা বাদেই সেই টিক চিহ্ন ফেরত আনা হয় উপ রাষ্ট্রপতির প্রোফাইলে।
কেন্দ্রের নয়া তথ্য ও প্রযুক্তি আইন চালু হওয়ার পর থেকেই সরকারের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষ। একদিকে যেমন তারা জানিয়েছিল, কেন্দ্রের কিছু নীতিতে ভারতে টুইটার ব্যবহারকারীদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। অন্যদিকে কেন্দ্রের তরফেও জানানো হয় যে, বাকি সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়াগুলি নতুন আইন মেনে কমপ্লায়েন্স অফিসার, একজন নোডাল অফিসার ও অভিযোগ জানানোর জন্য এক আধিকারিককে নিয়োগ করলেও টুইটার সেই নিয়ম মানছে না। এই নিয়েই দুই পক্ষের মধ্যে তরজা তুঙ্গে উঠেছিল। এ দিন উপরাষ্ট্রপতির টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে নীল টিক সরিয়ে দিতে সেই আগুনে ঘি ঢালল টুইটার।
টুইটারে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে নীল টিক দেওয়া হয় নামের পাশে, যা ভেরিফায়েড ব্যাজ হিসাবে পরিচিত। শনিবার সকালে আচমকাই দেখা যায়, উপ রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডুর প্রোফাইলে ব্লু টিক নেই। উপ রাষ্ট্রপতির দফতর থেকে এই বিষয়ে অভিযোগ জানানোর কয়েক ঘণ্টা পরেই টুইটার কর্তৃপক্ষ ফের ভেরিফায়েড ব্যাজ ফিরিয়ে দেয়।
সূত্র অনুযায়ী, টুইটারের তরফে ভেরিফায়েড ব্যাজ সরিয়ে নেওয়ার কারণ হিসাবে জানানো হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে উপ রাষ্ট্রপতির অ্যাকাউট থেকে কোনও টুইট না হওয়ার কারণেই প্রোফাইলটিকে “অচল” ভেবে নীল টিক সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যদিও কেন্দ্র টুইটারের এই ব্যাখ্যা মানতে নারাজ। প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলি ও সুষমা স্বরাজের মৃত্যুর পরও তাদের অ্যাকাউন্টে দীর্ঘদিন নীল টিক ছিল বলে দাবি করেছে কেন্দ্র। এক সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে, “টুইটার কেন্দ্রের ধৈর্য্য পরীক্ষা করছে। এর জন্য কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।”
কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফেও প্রশ্ন তোলা হয়েছে, “উপ রাষ্ট্রপতি সমস্ত রাজনীতির উর্ধ্বে। এটি একটি সাংবিধানিক পদ। টুইটার কি একই কাজ আমেরিকার সাংবিধানিক পদে বসা মন্ত্রীদের সঙ্গে করতে পারত?” যদিও এই বিষয়ে এখনও টুইটারের তরফে কোনও বিবৃতি জারি করা হয়নি।
আরও পড়ুন: কীভাবে মূল্যায়ন হবে সিবিএসই দ্বাদশের? ঠিক করবে প্যানেল