নয়া দিল্লি : তিন বছর ধরে সাসপেন্ড করা আছে আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ের টুইটার অ্যাকাউন্ট। অ্যাকাউন্ট পুনরায় খোলার দাবি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। আর সেই মামলায় দিল্লি হাইকোর্ট কেন্দ্র জানাল, কারও যদি টুইটার অ্যাকাউন্টের বেশির ভাগই পোস্টের বিরুদ্ধেই অভিযোগ ওঠে, তাহলে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিতে পারে টুইটার। কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফ থেকে শুক্রবার একটি হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করার আগে নোটিস দিতে হবে টুইটারের তরফে, তারপর কোনও পদক্ষেপ করা যাবে।
এর আগে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে এই মামলায় কেন্দ্র দাবি করেছিল যে পুরো ইস্যুটাই হেগড়ে ও টুইটারের মধ্যে হয়েছে। এতে কেন্দ্রের হাত রয়েছে, এমন কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি হেগড়ে। তবে পরে কেন্দ্র জানিয়েছে, ২০২১- এ নতুন তথ্য-প্রযুক্তি আইন এনেছে কেন্দ্র।
২০১৯ -এর অক্টোবর মাসে ব্লক করে দেওয়া হয়েছিল হেগড়ের টুইটার অ্যাকাউন্ট। অগাস্ট ল্যান্ডমেসারের একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন তিনি। গল্প বলি শুনুন। জার্মানির ল্যান্ডমেসার প্রথম জীবনে নাজি পার্টির সদস্য ছিলেন তিনি। একটি মিছিলে নাজি স্যালুট করতে তিনি রাজি হচ্ছেন না, এমন একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন হেগড়ে। আর সেটা নিয়েই আপত্তি তৈরি হয়। আচমকাই ব্লক করে দেওয়া হয় অ্যাকাউন্ট। পরের দিনই সেই অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু, আবারও ব্লক করা হয় সেই অ্যাকাউন্ট। এবার একটি কবিতা নিয়ে অভিযোগ ওঠে। সেই কবিতার শিরোনাম ছিল ‘হ্যাং হিম।’ সেই অ্যাকাউন্ট ফেরানোর জন্যই মামলা লড়ছেন হেগড়ে। এই বিষয়ে কেন্দ্রের কী তত্ত্ব, তা জানতে চেয়ে হলফনামা দিতে বলে দিল্লি হাই কোর্ট। বিচারপতি যশবন্ত ভার্মার বেঞ্চে চলছে সেই মামলার শুনানি।
কেন্দ্র জানিয়েছে, যদি অ্যাকাউন্টের বেশির ভাগ টুইট নিয়ম বিরোধী হয়, তাহলে চূড়ান্ত পদক্ষেপ করতে পারে সংস্থা। অর্থাৎ অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করা হতে পারে বা ব্লক করে দেওয়া হতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে যাঁর অ্যাকাউন্ট তাঁকে নোটিস দিতে হবে।