মুম্বই: ফের দেশে কর্মী ছাঁটাইয়ের শঙ্কা! এবার দিল্লি এবং মুম্বইয়ে টুইটারের ৩টি অফিস বন্ধ হতে চলেছে। যদিও দিল্লি এবং মুম্বইয়ের অফিসের কর্মীদের এখনও ছাঁটাই করা হয়নি। সকলকে বাড়ি থেকে কাজ করতে বলা হয়েছে। টুইটার কর্তৃপক্ষের তরফে অবশ্য এবিষয়ে অফিসিয়ালি এখনও কিছু জানানো হয়নি। তবে সূত্র মারফৎ এমনটাই জানা যাচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যয়সঙ্কোচ করা হবে বলে ইতিমধ্যে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে। ফলে দিল্লি ও মুম্বইয়ের অফিস বন্ধ হলে কাজ হারানোর আশঙ্কায় টুইটারের বহু কর্মী।
জানা গিয়েছে, বর্তমানে দিল্লি, মুম্বই এবং বেঙ্গালুরুতে টুইটারের অফিস রয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী ও বাণিজ্যনগরীর অফিস বন্ধ করে কেবল প্রযুক্তিহাব, বেঙ্গালুরুর অফিস থেকেই সমস্ত কাজকর্ম চালানোর চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে টুইটার কর্তৃপক্ষ। মূলত বেঙ্গালুরুর এই অফিস থেকেই টুইটারের প্রযুক্তিগত দিকটি পরিচালিত হয়। সংস্থার প্রযুক্তিবিদরা এই অফিসেই কাজ করেন। ফলে কেবল এই অফিস খুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টুইটার কর্তৃপক্ষ। সংস্থার এই সিদ্ধান্ত অবশ্য হঠাৎ করে হয়নি। ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যয়সঙ্কোচ করা হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন টুইটারের প্রধান এলন মাস্ক। ফলে এখন চাকরি হারানোর আশঙ্কায় টুইটারের দিল্লি ও মুম্বই অফিসের একাধিক কর্মী।
প্রসঙ্গত, টুইটারের দায়িত্ব নেওয়ার পরই অবশ্য ব্যয়সঙ্কোচ শুরু করেন এলন মাস্ক। গত বছরের শেষার্ধে ভারতে কর্মরত ৯০ শতাংশের বেশি অর্থাৎ ২০০-র বেশি কর্মী ছাঁটাই করেছেন। সংস্থার লভ্যাংশ না হওয়ায় আর্থিক দিক থেকে টেনে তুলতেই তিনি কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হেঁটেছেন বলে জানিয়েছেন মাস্ক। চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত ব্যয়সঙ্কোচ করা হবে বলেও সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তিনি।
সংস্থার আর্থিক অবস্থা যে ভাল নয় তা ইতিমধ্যে স্পষ্ট। টুইটারের হেড অফিস সানফ্রান্সিসকো এবং লন্ডনের অফিসের ভাড়া গত কয়েক মাস ধরে বাকিতে রয়েছে। অনেক কর্মী বেতন পাননি। অর্থের জোগান দিতে অফিসের স্ট্যাটু থেকে মেশিন পর্যন্ত নিলামে তোলা হচ্ছে। সবমিলিয়ে, চরম আর্থিক সংকটে টুইটার।