শ্রীনগর: কাশ্মীরে কম-বেশি সারা বছরই চলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের লড়াই। গত এক বছরেও তার পরিবর্তন হয়নি। নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করা হোক বা উপত্যকায় গ্রামের মধ্য লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের খুঁজে বের করা, সারা বছর ধরে সেনার সঙ্গে এই সব অভিযানে জড়িয়ে ছিল কাশ্মীর পুলিশ। কিন্তু গত এক বছরে পরিস্থিতির কতটা বদল হয়েছে, তা সম্প্রতি জানিয়েছে কাশ্মীর পুলিশ। কাশ্মীর পুলিশের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল অব পুলিশ বিজয় কুমার একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন। সেখানে তিনি বিষয়টি নিয়ে জানিয়েছেন।
গত এক বছরে ৯৩টি এনকাউন্টার হয়েছে। সেনা-পুলিশের এই যৌথ অভিযানে ১৭২ জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। এই জঙ্গিদের মধ্যে অধিকাংশই লস্কর-ই-তৈবার সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে অনেকে লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত বা লস্কর-ই-তৈবার স্থানীয় সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান ফ্রন্টের সদস্য। এ ছাড়া জৈশ-ই-মহম্মদ, হিজবুল মুজাহিদিন, আল বদর, আলকায়দার মতো সংগঠনের জঙ্গিদেরও খতম করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাশ্মীর পুলিশের ওই অফিসার।
এ নিয়ে ওই পুলিশ অফিসার বলেছেন, “২০২২ সালে ৯৩টি সফল এনকাউন্টারে ১৭২ জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১০৮ জন লস্কর-ই-তৈবার সদস্য। জৈশ-ই-মহম্মদের সদস্য ৩৫ জন, হিজবুল মুজাহিদিনের সদস্য ২২ জন, আল বদরের সদস্য ৪ জন এবং তিন জন্য আনসার গাজওয়াল উল হিন্দের সদস্য।”
কাশ্মীরে সেনার তৎপরতা ঘিরে উপত্যকা বাসীর মনোভাবের পরিবর্তনের কথা জানিয়েছে পুলিশ। বাড়িওলারা এখন আর জঙ্গিদের আশ্রয় দিতে চায় না। সরাসরি অপরিচিতদের ভাড়া দিতে অস্বীকার করে। পাশাপাশি ছেলেরা জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে যোগ দিলে বাবা-মায়েরা আর গর্ববোধ করেন না। এই মনোভাবের পরিবর্তনে তাঁদের কাজে সুবিধা হয়েছে বলেও দাবি করেছে কাশ্মীর পুলিশ।