মুম্বই: শিবসেনার (Shiv Sena) নাম ও প্রতীকের অধিকার নিয়ে ফের একবার শীর্ষ আদালতের (Supreme Court of India) দ্বারস্থ হলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। শিবসেনা কার, এই দীর্ঘ বিতর্কে গত শুক্রবার ইতি টানে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তরফে শিবসেনা নাম ও দলের ‘তির ও ধনুক’ প্রতীক ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয় শিবসেনার শিন্ডে শিবিরকে। কমিশনের সেই সিদ্ধান্তের চরম সমালোচনা করেন উদ্ধব ঠাকরে। এমনকী কমিশনের সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথাও বলেন তিনি। এবার সোমবার কমিশনের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হলেন উদ্ধব ঠাকরে। এদিকে দলীয় কার্যালয়ে আজ সাড়ে ১২ টায় বিধায়কদের একটি বৈঠকও ডাকা হয়েছে বলে খবর মিলেছে।
জানা গিয়েছে, উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা সুপ্রিম কোর্টে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে স্থগিতাদেশ চেয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে করা আবেদনে উদ্ধব শিবির অভিযোগ করেছে, নিরপেক্ষ সালিশ হিসেবে তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রসঙ্গত, গত বছর একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে প্রায় ৪০ জন বিধায়ক শিবসেনা ছেড়ে বেরিয়ে যান। তারপর বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গঠন করে শিবসেনার শিন্ডে শিবির। সেই সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন একনাথ শিন্ডে। সেই সময় সরকারের রাশ তো উদ্ধব ঠাকরের হাত থেকে চলেই যায়। তারপর শিবসেনার নাম ও প্রতীক নিয়ে ঠাকরে ও শিন্ডের মধ্যে শুরু হয় নতুন লড়াই। সেই সময় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ঠাকরে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সেই সময় নির্বাচন কমিশনকে শিবসেনা নিয়ে কোনওরকম সিদ্ধান্ত নিতে নিষেধ করা হয়। আপাতত দুই শিবিরকে আলাদা আলাদা প্রতীক ব্যবহার করে মহারাষ্ট্রের উপ নির্বাচন লড়তে হয়।
তবে সম্প্রতি শিবসেনা নিয়ে চরম সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলে নির্বাচন কমিশন। শিবসেনার নাম ও প্রতীক ব্যবহারের অধিকার তুলে দেওয়া হয় একনাথ শিন্ডের হাতে। কমিশনের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শিবসেনার বর্তমান সংবিধান বেআইনি এবং দলীয় সদস্যদের অগণতান্ত্রিকভাবে বিভিন্ন পদে নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়াও শিন্ডে শিবিরে নির্বাচিত দলীয় সদস্য সংখ্যাও বেশি। তাই শিবসেনা থাকল শিন্ডেরই। গদি আগেই হারিয়েছিলেন ঠাকরে। এবার চিরতরে নিজের বাবার প্রতিষ্ঠা করা দলও হস্তচ্যুত হয় ঠাকরের। এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি উদ্ধব। এই সিদ্ধান্তকে গণতন্ত্রের হনন বলেছেন ঠাকরে। এবং বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন।