নয়া দিল্লি: ‘ইনস্টিটিউশন অব এমিনেন্স’-এর মর্যাদা কি পাবে না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়? বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি-র এক বিশেষজ্ঞ কমিটি যাদবপুর এবং জামিয়া হামদর্দ বিশ্বদ্যালয়কে এই সম্মান না দেওয়ার সুপারিশ করেছে। এর আগে, এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়কেই ‘ইনস্টিটিউশন অব এমিনেন্স’-এর মর্যাদা দেবে বলে তালিকাভুক্ত করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। বর্তমানে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, বিএইচইউ, হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়, আইআইএসসি ব্যাঙ্গালোর, আইআইটি বম্বে, আইআইটি দিল্লি, আইআইটি খড়গপুর, আইআইটি মাদ্রাজের মতো দেশের কিছু হাতেগোনা শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পকেটে এই সম্মান রয়েছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক অবশ্য এখনও পর্যন্ত ইউজিসি-র এই সুপারিশ সম্পর্কে কিছু জানায়নি। যাদবপুর বা জামিয়া হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।
ইউজিসির এক শীর্ষ কর্তাকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্পের অধীনে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৩,২৯৯ কোটি টাকার বাজেট-সহ একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কিন্তু এই প্রকল্পে ১০০০ কোটি টাকা পর্যন্ত তহবিল প্রদানের বিধান রয়েছে। তাই চাহিদার বাকি অর্থ পশ্চিমবঙ্গ সরকার দেবে কিনা, তা জানতে চেয়েছিল ইউজিসি। পশ্চিমবঙ্গ সরকার সম্মতি দেয়নি। বদলে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাব সংশোধন করে সরকার। প্রথমে এই তহবিলের পরিমাণ ১০১৫ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। পরে আবার আরও ২৫ শতাংশ কমিয়ে ৬০৬ কোটি টাকা করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দুই ধাপে এইভাবে বিপুল পরিমাণে বাজেট ব্যয় কমানোয়, প্রস্তাবটি ফের বিবেচনার জন্য ইউজিসি এবং ইইসির কাছে পাঠানো হয়েছিল। দুই সংস্থাই শিক্ষা মন্ত্রককে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে আইওই মর্যাদা না দেওয়ার সুপারিশ করেছে।
এদিকে, আন্না বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ইনস্টিটিউট অফ এমিনেন্স মর্যাদা চেয়েছিল তামিলনাড়ু সরকার। তবে, তারা সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে নিয়েছে। সম্প্রতি রাজ্য বিধানসভায় একটি নতুন বিল পাস হয়েছে। এই বিল অনুযায়ী আন্না বিশ্ববিদ্যালয়কে দুটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেঙে ফেলা হবে। একটি হবে, আন্না প্রযুক্তি এবং গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় এবং আরেকটি আগের মতোই আন্না বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিত হবে। তামিলনাড়ু সরকারের এক কমিটিও এর আগে জানিয়েছিল, আন্না বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউশন অফ এমিনেন্স মর্যাদার প্রয়োজন নেই।