Live In Relation Rules: লুকিয়ে লিভ-ইন? কত মাস জেল খাটতে হবে জানলে দু’বার ভাববেন
Uniform Civil Code: যদি সম্পর্কে থাকা কেউ 'নিষিদ্ধ সম্পর্কে' থাকেন, তবে তা লিভ-ইন সম্পর্ক হিসাবে রেজিস্টার করা হবে না। এখানে নিষিদ্ধ সম্পর্ক বলতে পারিবারিক যোগ, যা আইনত বিয়ে বা শারীরিক সম্পর্ককে নিষিদ্ধ করে, সেগুলি বোঝানো হয়েছে। সহজ কথায় বলতে গেলে, রক্তের সম্পর্ক রয়েছে, এমন কারোর সঙ্গে লিভ-ইনে থাকলে, তা নিষিদ্ধ সম্পর্ক হিসাবে গণ্য করা হবে।
দেহরাদুন: সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়েছে পাশ্চাত্যের রীতি-নীতি। তার ভাল দিক যেমন রয়েছে, তেমন খারাপও রয়েছে। বর্তমানে বিয়ের আগেই একসঙ্গে থাকার প্রবণতা বেড়েছে। এই সম্পর্কের পোশাকি নাম “লিভ-ইন” (Live In Partner) । বিবাহিতরা যেমন থাকেন, তেমনই থাকেন, শুধু স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় থাকে না এই সম্পর্কে। অনেকেই নিজেদের বাড়িতে লুকিয়ে, বাড়ি মালিকদের কাছে নিজেদের বিবাহিত পরিচয় দিয়ে লিভ ইন সম্পর্কে থাকেন। তবে লুকিয়ে বা মিথ্যা কথা বলে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকার দিন শেষ। লিভ-ইন সম্পর্কে থাকার জন্য নিজেদের নাম নথিভুক্ত করাতেই হবে। নিয়ম না মানলে ৬ মাসের জেল, ২৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় শাস্তিই পেতে হতে পারে।
এমনটাই কড়া নিয়ম আনছে উত্তরাখণ্ড সরকার। মঙ্গলবারই বিধানসভায় পেশ হয়েছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বা ইউনিফর্ম সিভিল কোড (Uniform Civil Code)। এই প্রস্তাবনা আইনে পরিণত হলেই লিভ-ইন সম্পর্কের জন্য ডিক্লেরেশন বা ঘোষণা করতে হবে।
লিভ ইন সম্পর্কের নিয়ম-
- যদি ২১ বছরের কম বয়সী কেউ লিভ ইন সম্পর্কে থাকতে চান, সেক্ষেত্রে মা-বাবার অনুমতি বাধ্যতামূলক।
- এছাড়া রেজিস্ট্রারারের কাছে গিয়ে বিবৃতি জমা দিয়ে জানাতে হবে যে তারা উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা কি না।
- প্রস্তাবিত খসড়া আইনে বলা হয়েছে, যদি কেউ বিনা রেজিস্ট্রেশনে এক মাসের বেশি সময় লিভ-ইন সম্পর্কে থাকেন, তবে তার তিন মাস অবধি জেল বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা কিংবা উভয় শাস্তিই পেতে হতে পারে।
- লিভ-ইন সম্পর্কে থাকার জন্য যদি কেউ ব্যক্তিগত তথ্য লুকোন বা মিথ্য়া তথ্য দেন, তবে তিন মাসের জেল ও ২৫ হাজার টাকা অবধি জরিমানা দিতে হবে।
- লিভ-ইন সম্পর্কে থাকাকালীন যদি সন্তান হয়, তবে তাকে বৈধ সন্তানের স্বীকৃতিই দেওয়া হবে।
- লিভ-ইন সম্পর্কে থাকা কোনও মহিলাকে যদি পুরুষসঙ্গী পরিত্যাগ করেন, তবে তিনি আদালতে যেতে পারেন এবং খোরপোশের দাবি করতে পারেন।
লিভ-ইন সম্পর্কের বিবৃতি স্থানীয় থানায় অফিসার ইনচার্জের কাছে পাঠানো হবে। সেই বিবৃতির ভিত্তিতে তথ্য যাচাই বা ভেরিফিকেশন হবে। যদি তথ্য মিথ্যা হয়, তবে পুলিশ যথাযথ পদক্ষেপ করবে।
তবে লিভ-ইন সম্পর্কের রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে কিছু ছাড়ও দেওয়া হয়েছে। যদি সম্পর্কে থাকা কেউ ‘নিষিদ্ধ সম্পর্কে’ থাকেন, তবে তা লিভ-ইন সম্পর্ক হিসাবে রেজিস্টার করা হবে না। এখানে নিষিদ্ধ সম্পর্ক বলতে পারিবারিক যোগ, যা আইনত বিয়ে বা শারীরিক সম্পর্ককে নিষিদ্ধ করে, সেগুলি বোঝানো হয়েছে। সহজ কথায় বলতে গেলে, রক্তের সম্পর্ক রয়েছে, এমন কারোর সঙ্গে লিভ-ইনে থাকলে, তা নিষিদ্ধ সম্পর্ক হিসাবে গণ্য করা হবে।
কোন ক্ষেত্রে সম্পর্ক রেজিস্টার হবে না?
- এছাড়া যদি লিভ-ইনে থাকা কোনও এক সঙ্গী ইতিমধ্যেই বিবাহিত বা অন্য লিভ ইন সম্পর্কে থাকেন, তবে তা লিভ-ইন সম্পর্ক হিসাবে রেজিস্টার করা হবে না।
- যদি লিভ-ইন সম্পর্কে থাকা সঙ্গী নাবালক বা নাবালিকা হন, তাহলেও সেই সম্পর্ক রেজিস্টার হবে না।
- যদি জোর করে বা প্রভাব খাটিয়ে সঙ্গীর সম্মতি গ্রহণ করা হয় লিভ-ইন সম্পর্কে থাকার জন্য, তবে সেই সম্পর্ককে লিভ-ইন সম্পর্ক হিসাবে রেজিস্টার করা হবে না।
লিভ-ইন সম্পর্ক ভাঙার নিয়ম-
ইচ্ছে হলেই ব্রেক আপ আর তাতেই সম্পর্কে ইতি-তা হবে না লিভ-ইন সম্পর্কের ক্ষেত্রে। লিভ-ইন সম্পর্ক ভাঙার জন্য উভয় সঙ্গী বা একজনকে রেজিস্ট্রারারের কাছে লিখিত বিবৃতি জমা দিতে হবে। পাশাপাশি ওই বিবৃতির একটি কপি প্রাক্তন সঙ্গী বা সঙ্গীনীকেও দিতে হবে।