কোট্টায়াম: প্রতিবেশীর বাড়িতে ছিল বিয়ে। কিন্তু সেই বিয়েতে আমন্ত্রণ পাননি। অভিযোগ, অপমানে বিয়ে বাড়িতে পাথর ছোড়েন ৩৬ বছরের ওই ব্যক্তি। এমনকি বিয়েবাড়ির সামনে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন বলেও অভিযোগ। এর পরই বর ও তাঁর বন্ধুর সঙ্গে বচসায় জড়ায় পাথর ছোড়ায় অভিযুক্ত। বচসার সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে বর ও তাঁর বন্ধুর বিরুদ্ধে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়ে ওই ব্যক্তিকে ভর্তি করা হয়েছিল হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। এর পর বর ও তাঁর বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিয়ের বাড়ির অনুষ্ঠানে ঝামেরা ঘিরে শেষমেশ জেলে ঢুকতে হল বরকে। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের কোট্টায়াম জেলার কারুকাচলে। ঘটনার জেরে ওই এলাকার পরিস্থিতি থমথমে।
জানা গিয়েছে, কারুকাচলে দিন কয়েক আগে বসেছিল বিয়ের আসর। বিষ্ণু নামে এক যুবকের বিয়ে ছিল। সেই বিয়েতেই আমন্ত্রণ পাননি বিনু নামে ৩৬ বছরের এক ব্যক্তি ও তাঁর পরিবার। অপমানে বিনু বিয়ের বাড়ির সামনে গিয়ে গালিগালাজ করেছিলেন বলে অভিযোগ। এমনকি বিয়ে বাড়িতে পাথরও ছোড়েন। তখনই বিয়ে বাড়ির লোকেদের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। খানিক পরেই তা পরিণত হয় হাতাহাতিতে। বিনুর পক্ষেও কয়েক জন প্রতিবেশী জড়ো হয়েছিলেন সেখানে। একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, রীতিমতো অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছিল সেখানে। সে সময়ই বিষ্ণু ও তাঁর বন্ধু সেবাস্তিয়ান আক্রমণ করেন বিনুকে। ধারালো অস্ত্রের কোপ মারা হয় বলে অভিযোগ। এর জেরে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বিনুকে। প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল নেয়াট্টিনকারা তালুক হাসপাতালে। সেখান থেকে তিরুঅনন্তপুরমের মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
গণ্ডগোলের খবর যায় পুলিশের কাছে। পুলিশ আসে ঘটনাস্থলে। তখনই বিষ্ণু ও সেবাস্তিয়ান পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ জানিয়েছে বিয়ে বাড়ির নিমন্ত্রণ না করা নিয়েই এই অশান্তির সূত্রপাত। ঘটনার জেরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ওই এলাকায়।