নয়া দিল্লি: গালওয়ানের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর প্রথমবার ভারত সফরে আসছেন চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (Sanghai Co-Operation Organization) বৈঠকে আগামী ২৮ এপ্রিল সদস্য দেশগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা বৈঠকে বসবেন। কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাংহাই কো-অপারেশনের বৈঠকের পাশাপাশি চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি সাংফুর সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠকে বসবেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা ঘিরে দুই দেশের মধ্যে বিগত তিন বছর ধরে যে বিরোধ চলছে, তা নিয়েই দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মধ্য়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাংহাই কো-অপারেশন বৈঠকে যোগ দিতে যে সমস্ত দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা আসছেন, তাদের সকলের সঙ্গে আলাদাভাবে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সাংহাই কো-অপারেশনের অধীনস্থ দেশগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায়, সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে মিলিত উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করবেন।”
সাংহাই কোঅপারেশনের সদস্য দেশগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সঙ্গে মূলত চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি সাংফুর সঙ্গে বৈঠকের উপরেই বিশেষ নজর থাকবে। ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা ঘিরে ভারত ও চিনের মধ্যে বিরোধ এবং তার জেরে গালওয়ান উপত্য়কায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর থেকেই দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে চিড় ধরেছে। একাধিকবার সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে বৈঠক করা হলেও, পরিস্থিতি এখনও সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়নি। এই পরিস্থিতিতে এই প্রথম ভারতে আসছেন চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
কেন্দ্রীয় সূত্রে খবর, চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা ও সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে কথা বলবেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। পাশাপাশি অরুণাচল প্রদেশেও চিনা সেনার সাম্প্রতিক অনুপ্রবেশের চেষ্টা নিয়েও কথা বলবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
উল্লেখ্য, সাংহাই কো-অপারেশন কর্পোরেশনের সদস্য দেশগুলি হল ভারত, চিন, পাকিস্তান, রাশিয়া, কাজ়াকিস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান। চলচি বছরের বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে নয়া দিল্লিতে। সদস্য দেশগুলি ছাড়াও বেলারুস ও ইরান ‘পর্যবেক্ষক দেশ’ হিসাবে বৈঠকে যোগ দেবে।