নয়া দিল্লি: করোনা (COVID-19) পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে উদ্বেগ। চিনে (China) ভয়াবহ রূপ নিয়েছে করোনা সংক্রমণ। সে দেশে প্রতিদিনই প্রায় লক্ষাধিক মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। মৃত্যুও হচ্ছে হাজার হাজার মানুষের। এই পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় সরকারও। চিনের মতো ভারতেও যাতে করোনা ভয়াবহ আকার ধারণ না করে, তার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। মাস্ক পরা থেকে শুরু করে যাবতীয় করোনাবিধি ফের একবার অনুসরণ করার কথা বলা হয়েছে। জোর দেওয়া হয়েছে করোনা পরীক্ষা ও জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের (Genome Sequencing) উপরেও। এই পরিস্থিতিতেই রাজ্যগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য়মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য (Mansukh Mandaviya)। আজ দুপুরে এই বৈঠক হওয়ার কথা।
কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা পরিস্থিতি নিয়েই রাজ্যগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এই বৈঠকে সমস্ত রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। দুপুর তিনটে নাগাদ এই বৈঠক হওয়ার কথা। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমেই এই বৈঠক হবে। তবে জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন না রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বদলে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
জানা গিয়েছে, চিনে ওমিক্রনের যে সাব-ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭-র প্রভাবে করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তা ইতিমধ্যেই ভারতেও পাওয়া গিয়েছে। গুজরাটে দুইজন ও ওড়িশায় দুইজনের খোঁজ মিলেছে, যারা এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এই খবর মেলার পর থেকেই আরও তৎপর হয়েছে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে মূলত রাজ্যগুলিতে করোনা সংক্রমণ রুখতে পরিকাঠামো অর্থাৎ আক্রান্তের সংখ্যা কত, টিকাকরণের হার কেমন, করোনা পরীক্ষার হার, জিনোম সিকোয়েন্সিং ব্যবস্থা কেমন- এই সমস্ত বিষয়গুলি নিয়েই আলোচনা করা হবে। রাজ্যে স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা কতজন রয়েছেন, বিমানবন্দরে নজরদারি ও কেন্দ্রের নির্দেশিকা কতটা মেনে চলা হচ্ছে, তাও খতিয়ে দেখা হবে।
উল্লেখ্য, চিন, জাপান, আমেরিকা সহ একাধিক দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়তেই বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। বুধবার তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপরই বৃহস্পতিবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। আজ ফের বৈঠক স্বাস্থ্য মন্ত্রকের। আজ সমস্ত রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। অর্থাৎ করোনা নিয়ে পরপর তিনদিন বৈঠকে বসছে কেন্দ্র।