‘রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও ভর্তি করা যাবে কোভিড হাসপাতালে’, নিয়ম বদলে বড় ঘোষণা কেন্দ্রের

May 08, 2021 | 3:57 PM

অনেক ক্ষেত্রেই রোগীর করোনা (COVID 19) রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও উপসর্গ ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে। অথচ পজিটিভ রিপোর্ট না থাকায় কোভিড হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রে বাধা দেওয়া হচ্ছে।

রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও ভর্তি করা যাবে কোভিড হাসপাতালে, নিয়ম বদলে বড় ঘোষণা কেন্দ্রের
প্রতীকি ছবি, সৌজন্যে PTI

Follow Us

নয়া দিল্লি: কোভিড (COVID 19) টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ, অথচ উপসর্গ করোনার। এমন উদাহরণ রয়েছে ভুরি ভুরি। অনেকেই শ্বাসকষ্ট-সহ করোনার মারাত্মক উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে গেলেও রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়ায় চিকিৎসা পাচ্ছেন না। আর এই সমস্যা সমাধানে এবার উদ্যোগী হল কেন্দ্র। কোভিড রোগীর ভর্তির ক্ষেত্রে নীতি বদল করল স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Health Minstry)। রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও এবার কোভিড হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা থাকবে না।

বর্তমান পরিস্থিতির নিরিখে রোগীর ভর্তির নীতিতে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য বদল আনল স্বাস্থ্য মন্ত্রক। আজ, শনিবারই সেই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘কোনও অজুহাতেই রোগীকে ফেরানো যাবে না।’ সব রাজ্যগুলির উদ্দেশে এই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। অসুস্থ রোগীর চিকিৎসা যাতে দ্রুত হয়, সে দিকে নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

নতুন নির্দেশিকায় কী কী বলা হয়েছে:

১. করোনার চিকিৎসা হয় এমন হাসপাতালে ভর্তির জন্য কোভিড টেস্টের রিপোর্ট বাধ্যতামূলক নয়। করোনা সন্দেহ করা হলে, সেই রোগীকে সাসপেক্ট ওয়ার্ডে রাখতে হবে।

২. কোনও অজুহাতেই রোগীকে ফেরানো যাবে না। প্রয়োজনীয় ওষুধ, অক্সিজেন সবই দিতে হবে তাঁকে। রোগী অন্য শহরের বাসিন্দা হলেও তাঁকে ভর্তি করাতে হবে।

৩. যে শহরে হাসপাতাল অবস্থত সেই শহরের বাসিন্দা হওয়ার কোনও সরকারি প্রমাণপত্র দিতে না পারলেও রোগীকে চিকিৎসা না দিয়ে ফেরানো যাবে না।

আরও পড়ুন: বুকের এক্স-রে দেখে হবে করোনার চিকিৎসা, নতুন ‘এআই অ্যালগোরিদম’ তৈরি করেছে ডিআরডিও

দিন কয়েক আগে এরকমই একটি নির্দেশিকা দেয় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর:

নির্দেশিকায় হাসপাতালগুলিকে বলা হয়েছে, করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ থাকলেও রোগীকে ভর্তি করাতে হবে। প্রয়োজনে রোগীকে সারি ওয়ার্ডে রেখে র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করে রিপোর্ট জানতে হবে। রোগীর শরীরিক অবস্থা স্থিতিশীল না হলে তাঁকে অন্য কোনও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা যাবে না। স্বাস্থ্য দফতর নির্দেশ দেয়, বেড না থাকলে যদি রোগীকে অন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়, সে ক্ষেত্রে যে হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে সেখানে বেড আছে কি না, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

চিকিৎসকরা বলছেন, কেন্দ্রেরর এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। যেহেতু টেস্ট কিটের অভাবে পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না অনেক সময়, তাই অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে রোগীকে। অসুস্থতা বাড়লেও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাচ্ছেন না তাঁরা। হাসপাতালগুলি এই নির্দেশিকা মেনে চললে ভবিষ্যতে রোগীরা উপকৃত হবেন বলেই মনে করছেন চিকিৎসকেরা।

Next Article