নয়া দিল্লি: করোনা সংক্রমণ রুখতে টিকাকরণের উপর বারংবার জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের একটি সাংবাদিক সম্মেলনে নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পাল জানান, করোনা টিকা নিলে ৯৪ শতাংশ সুরক্ষা মেলে সংক্রমণ হওয়া থেকে। টিকা নেওয়ার পরও যদি কেউ করোনা আক্রান্ত হন, তবে সেক্ষেত্রে হাসপাতাল যাওয়ার সম্ভাবনাও ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ কমে যায়।
দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভয়াবহতা দেখার পরই কেন্দ্রের তরফে টিকাকরণের উপর আরও জোর দেওয়া হচ্ছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সমস্ত জনগণকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে কেন্দ্র। ভ্যাকসিন উৎপাদন ও বিদেশ থেকে আমদানির উপরও জোর দেওয়া হচ্ছে। ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা সম্পর্কে ডঃ ভিকে পাল বলেন, “স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর প্রয়োগ করা টিকার কার্যক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, টিকা নেওয়ার পর করোনা আক্রান্ত হলেও অক্সিজেনের প্রয়োজন কেবল ৮ শতাংশ এবং আইসিইউতে ভর্তি হওয়ার মতো শারীরিক অবস্থা কেবল ৬ শতাংশের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে।”
স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার কথা চিন্তাভাবনা করেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে মহামারী আইন অনুসারে স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা ও দেখভালের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। দেশে সংক্রমণের ওঠানামা সম্পর্কে তিনি আলোচনা করতে গিয়ে জানান, গত ৭ মে সংক্রমণ শীর্ষে থাকলেও তারপর সংক্রমণ প্রায় ৮৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। প্রতি সপ্তাহেই গড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ শতাংশ করে হ্রাস পেয়েছে। মে মাসের ১০ তারিখে যেখানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ছিল ২৯ লক্ষ, বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৭ লক্ষ ৯৮ হাজারে।
দেশে ক্রমশ সুস্থতার হারও বৃদ্ধি পেয়েছে ৩ মে থেকে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লভ আগরওয়াল বলেন, “৩ মে থেকেই সুস্থতার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে দেশে সুস্থতার হার ৯৬ শতাংশ।” সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে তিনি বলেন, “শিশুরাই যে ভয়ানকভাবে তৃতীয় ঢেউয়ে প্রভাবিত হবে, তা সম্পূর্ণরূপে সত্যি নয়। কারণ সেরো সমীক্ষা ও সেরো পজেটিভিটি সমস্ত বয়সসীমার ক্ষেত্রেই প্রায় সমান। তবে শিশু সহ সাধারণ জনগণের সুরক্ষায় সরকার সবরকমের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।”