‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেই…’, কাকা-ভাইপোর বিবাদে নয়া মোড়, জল্পনা পশুপতির মন্তব্য ঘিরে

গত সপ্তাহেই লোক জনশক্তি পার্টির মধ্যে বিদ্রোহের জেরে ৫ সাংসদ দল ছাড়ার হুমকি দেন। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকেও চিঠি লিখে তাঁদের ভিন্ন দল হিসেবে দেখতে আবেদন করেছেন তাঁরা।

'কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেই...', কাকা-ভাইপোর বিবাদে নয়া মোড়, জল্পনা পশুপতির মন্তব্য ঘিরে
এলজেপি নেতা পশুপতি পরস। ছবি: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 05, 2021 | 12:15 PM

পটনা: কাকা-ভাইপোর বিবাদে আপাতত সরগরম বিহারের রাজনীতি। কাকা পশুপতি কুমার পরসের নির্দেশেই এলজেপির সমস্ত দায়িত্বভার ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে চিরাগ পাসোয়ানকে। অন্যদিকে, চিরাগও নিজেকে “বাঘের বাচ্চা” বলে দাবি করে পদ ছাড়তে নারাজ। এরই মাঝে বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন পশুপতি কুমার। বৃহস্পতিবার তিনি ভুল করে বলে ফেলেন, “কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নিলেই দলনেতার পদ থেকে ইস্তফা দেব।”

বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় সম্প্রসারণ নিয়ে জল্পনা চলছে। এরই মাঝে পশুপতি কুমারের এই ঘোষণা কার্যত সেই জল্পনাতেই সিলমোহর দিল। কিন্তু তাঁর এই মন্তব্যে আখেরে নিজের ক্ষতি করলেন বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। কারণ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কোনও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার আগেই তা নিয়ে প্রচার পছন্দ করেন না।

অন্যদিকে, বিহারের বিজেপি নেতাদের একাংশ ইতিমধ্যেই দিল্লিতে জানিয়েছেন যে, রামবিলাস পাসোয়ানর পুত্রকে সরিয়ে পশুপতি কুমারের সমর্থনের সিদ্ধান্ত ভুল। বহু এলজেপি নেতাকেই ফোন করা হলে তাঁরা পশুপতির বদলে চিরাগের সমর্থনেই কথা বলেছেন বলে দাবি বিজেপি নেতাদের। তাঁদের মতে, জাতীয় স্তরে রাজনীতি করার মতো দক্ষতা বা ক্যারিশ্মা-কোনটাই নেই পশুপতি কুমারের মধ্যে। অন্যদিকে, পাসোয়ান গোষ্ঠী ছাড়াও বিহারের যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে চিরাগ পাসোয়ানের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।

গত সপ্তাহেই লোক জনশক্তি পার্টির মধ্যে বিদ্রোহের জেরে ৫ সাংসদ দল ছাড়ার হুমকি দেন। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকেও চিঠি লিখে তাঁদের ভিন্ন দল হিসেবে দেখতে আবেদন করেছেন তাঁরা। জেরেই দলীয় প্রধানের পদ থেকে সরতে হয় চিরাগ পাসোয়ানকে। অন্যদিকে পশুপতি পরসও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর সমর্থন এনডিএ জোটে।

আরও পড়ুন: আচমকাই দিল্লিতে সোনওয়াল, মুখ্যমন্ত্রীর পদ খোয়ালেও কি এ বার নয়া ‘ঠাঁই’ কেন্দ্র?