নয়া দিল্লি: সময় বদলেছে। একইসঙ্গে বদলেছে তথ্য আহরণের ধরণ ও পদ্ধতিও। প্রথাগত সংবাদমাধ্যম থেকে সরে ডিজিটাল মিডিয়ার যুগে যে পরিবর্তন এসেছে, তা নিয়েই কথা বললেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য ক্ষতিপূরণের কথাও বলেন তিনি।
জাতীয় সংবাদমাধ্যম দিবসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, “আগের প্রথাগত সংবাদমাধ্যম থেকে ডিজিটাল মিডিয়ায় স্থানান্তর পুরনো মিডিয়াকে আর্থিকভাবে প্রভাবিত করেছে”। ডিজিটাল মিডিয়ার যুগেও পুরনো সংবাদমাধ্যমের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করে তিনি জানান যে সংবাদমাধ্যমগুলি কনটেন্ট তৈরির জন্য যে পরিশ্রম করছে, তার যথাযথ মূল্য দেওয়া উচিত। সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বর্তমানে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ঝুঁকি ও বিপদ নিয়ে কথা বলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী। বৈদ্ধিক সম্পত্তির সুরক্ষার কথাও বলেন। তিনি বলেন, “এআই মডেল আজ বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট তৈরি করতে পারে তাদের প্রশিক্ষিত ডেটা সেট থেকে। কিন্তু যারা এই তথ্য বা ডেটা তৈরি করেছেন, তাদের স্বীকৃতি ও অধিকারের কী হয়? তারা কি নিজেদের কাজের জন্য স্বীকৃতি বা মূল্য পান? এটা শুধু আর্থিক বিষয় নয়, এটা নৈতিকতারও প্রশ্ন।”
যে দ্রুত হারে ডিজিটাল মিডিয়া বাড়ছে এবং সেখানে যে কনটেন্ট বা বিষয়বস্তু প্রকাশিত হচ্ছে, তার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি বলেন যে বিশ্বজুড়েই ডিজিটাল মাধ্যমের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলছে। ভুল তথ্য ছড়ানো, দাঙ্গা, এমনকী সন্ত্রাসবাদও ছড়ানো হচ্ছে ডিজিটাল মিডিয়ার মাধ্যমে, এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বৈষ্ণব।
ভুয়ো খবর রোখার ডিজিটাল মিডিয়াকে আরও কার্যকর হতে হবে বলেই জোর দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি বলেন, “ডিজিটাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে সমাজে তাদের প্রভাবের কথা মাথায় রেখে এই বিষয়ে সমাধান খুঁজতে হবে।”