নয়া দিল্লি: মণিপুর ইস্যুতে প্রথম দিনের পর দ্বিতীয় দিনও উত্তাল হয়ে উঠেছে সংসদ (Parliament)। শুক্রবার অধিবেশনের শুরুতেই শাসক ও বিরোধী দলের সদস্যদের হই-হট্টগোলে মুলতুবি হয়ে যায় সংসদের দুই কক্ষই। যা নিয়ে বিরোধীদের একহাত নিলেন কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। সরকার মণিপুর (Manipur) নিয়ে আলোচনা করতে চাইলেও বিরোধীরা ‘পালাতে চাইছেন’ বলে তোপ দাগেন তিনি। সংসদের বিরোধীদের আচরণের প্রেক্ষিতে দেশ ও দেশবাসীর প্রতি তাঁদের দায়িত্ব ও ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Anurag Thakur)।
এদিন লোকসভা মুলতুবি হয়ে যাওয়ার পর সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়েই বিরোধীদের কড়া ভাষায় তোপ দাগেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। মণিপুর নিয়ে সরকার আলোচনা করতে চায়, কিন্তু বিরোধীরা আলোচনা থেকে পালিয়ে যাচ্ছে বলে প্রশ্ন তোলেন তিনি। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “আগের কয়েকটি অধিবেশনের উদাহরণ দেখুন, বিরোধীরা কোনও না কোনও বাহানা করেন। যাতে সংসদে আলোচনা না হয়, অধিবেশন না চলে। যখন সরকার আলোচনা করতে প্রস্তুত তখনও অধিবেশন চালাতে দেন না বিরোধীরা।” এপ্রসঙ্গে বিরোধীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী বলেন, :দেশের মানুষ আশা নিয়ে সংসদের অধিবেশন দেখতে বসেন, অথচ বিরোধীরা অধিবেশন চালাতে দেন না, আলোচনায় অংশ নেন না। তখন এঁদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।” বিরোধীদের সরকারের প্রকৃত চেহারা প্রকাশ্যে চলে আসবে বলেই তাঁরা আলোচনা থেকে পালাতে চান বলেও কটাক্ষ করেছেন অনুরাগ ঠাকুর।
মূলত মণিপুরে দুই মহিলাকে নগ্ন করে হাঁটানোর ইস্যুকে কেন্দ্র করেই এদিন সংসদ উত্তাল হয়ে ওঠে। প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবি জানান বিরোধীরা। তারপর তীব্র হই-হট্টগোলের জেরে অধিবেশন স্থগিত করে দেওয়া হয়। এপ্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি তুলে ধরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন, “প্রধানমন্ত্রী প্রথম দিনই (গতকাল) বলেছেন, মণিপুরে যেটা ঘটেছে দুর্ভাগ্যজনক। এই ঘটনার পিছনে যে-ই থাকুক, তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। মহিলাদের উপর যে অত্যাচার, অসম্মান হয়েছে, সেটা দেশের ১৪০ কোটি মানুষের কাছে লজ্জাজনক। এরকম ঘটনা বন্ধ হওয়া উচিত। আর বাকি রাজ্যে এরকম ঘটনা যেন না ঘটে, সরকারের তদন্ত করা উচিত।” প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর এদিন সংসদে সরকার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চায় জানিয়ে অনুরাগ ঠাকুর বলেন, “আমরা সংবেদনশীল, দায়িত্বশীল, আলোচনায় অংশ নিতে চাই। আর বিরোধীরা দায়িত্ব থেকে পালাতে চায় এবং আলোচনা থেকেও পালাতে চায়।”