নয়া দিল্লি: রেলে নিয়োগের ক্ষেত্রে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল বিহার। মঙ্গলবার থেকেই রেলের এনটিপিসি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত না হওয়ার কারণে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিলেন বিহারের একদল চাকরি প্রার্থী। আজ বুধবার, গয়া স্টেশনে একটি ট্রেন ভাঙচুর করে ইঞ্জিন ও কয়েকটি কামরায় আগুন লাগিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। বিক্ষোভকারীদের সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। অবরোধ করা হয়েছিল আরাহ ও কলকাতা-নয়া দিল্লি মেইন লাইনও। এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। আন্দোলনকারীদের নিজের হাতে আইন না তুলে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, যাবতীয় অভাব অভিযোগ লিখিতভাবে নিয়োগ সংক্রান্ত নির্দিষ্ট কমিটির কাছে জানাতে।
বিহারের মঙ্গলবার থেকেই পরীক্ষার ফল প্রকাশের দাবিতে বিক্ষোভ চলছে চাকরি প্রার্থীদের। সেই বিক্ষোভই এদিন চরম আকার ধারণ করে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যেতে পারে ভেবেই আসরে নামেন স্বয়ং রেলমন্ত্রী। “ছাত্রছাত্রীদের কাছে আমার অনুরোধ দয়া করে নিজের হাতে আইন তুলে নেবেন না। আমরা তাদের তোলা অভাব অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখব।” এদিন উত্তপ্ত বিক্ষোভের কারণে এনটিপিসির লেভেল ১ পরীক্ষা বাতিল করার কথা জানিয়েছিল রেল। রেলের তরফে যাবতীয় অভাব অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন রেলওয়ে নিয়োগ বোর্ডে যাঁরা পাশ করেছেন বা করেননি তাদের উভয় পক্ষের কথা খতিয়ে দেখবে ওই কমিটি।
এদিকে আজকে ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর বিহারের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। ট্রেনে আগুনের খবর পেয়েই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ ও আরপিএফ। বিক্ষোভকারীদের সরাতে লাঠিচার্জ শুরু করা হয়। দুই পক্ষের মধ্যে ধুন্ধুমার বাধে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ ছিল, রেলওয়ের নন-টেকনিক্যাল পপুলার ক্যাটেগরির পরীক্ষা নিয়ে জালিয়াতি করা হয়েছে। গত ১৫ জানুয়ারিই প্রথম ধাপের কম্পিউটার ভিত্তিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। সেখানেই দ্বিতীয় ধাপে পরীক্ষার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে জালিয়াতি বলেই দাবি বিক্ষোভকারীদের। বিক্ষোভকারীদের দাবি, দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও সিবিটি ২ পরীক্ষার দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়নি। ২০১৯ সালের রেলওয়ের নিয়োগ পরীক্ষা নিয়েও নতুন কোনও আপডেট পাওয়া যাচ্ছে না। সেই পরীক্ষার ফলও প্রকাশ করা হয়নি। পরীক্ষার্থীদের সময় নষ্ট করা হচ্ছে এইভাবে। তাদের দাবি, সিবিটি ২ পরীক্ষা যেন অবিলম্বে বাতিল করা হয় এবং আগের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: Republic Day 2022: নজরে নির্বাচন! প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধানমন্ত্রী মোদীর পোশাকও যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী