পটনা: আর নেপথ্য কারিগর নয়, এবার ভোটের ময়দানে সরাসরি নেমেছেন প্রশান্ত কিশোর। চলতি মাসেই আত্মপ্রকাশ করেছে তাঁর দল, জন সূরজ পার্টি। সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দিতে না দিতেই পিকে-র বিরুদ্ধে উঠল মারাত্মক অভিযোগ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতন রাম মাঝি অভিযোগ করলেন, ভোটারদের টাকা দিয়ে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন পিকে। যদিও ভোটকুশলী এই অভিযোগ মানতে নারাজ। পাল্টা চ্যালেঞ্জ করে বলেছেন, যদি জিতন রাম মাঝির কাছে সঠিক তথ্য় থাকে, তাহলে ইডি-সিবিআই পাঠাক।
সামনেই বিহারে রয়েছে উপনির্বাচন। লোকসভা নির্বাচনে শূন্য থেকে যাওয়া আসনের ভোট দিয়েই হাতেখড়ি হবে প্রশান্ত কিশোরের জন সূরজ পার্টির। তবে ভোটের আগেই, শুক্রবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতন রাম মাঝি বলেন, “জন সূরজের লোকজনরা সাধারণ মানুষকে দিয়ে সই করিয়ে নিচ্ছেন। ভোটারদের ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে জন সূরজ পার্টির প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার বিনিময়ে।”
প্রশান্ত কিশোর এই অভিযোগ শুনে বলেন, “ওঁ কি বুঝতে পারছেন কী বলছেন? প্রতিটি কেন্দ্রে কমপক্ষে ২ ল ভোটার রয়েছে। যদি আমরা প্রতি ভোটারদের ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিই, তাহলে মোট কত টাকা হচ্ছে, তা হিসাব করে বলুক ওঁ।”
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করে পিকে বলেন, “যদি মাঝি নিশ্চিত হন যে আমরা টাকার গদির উপরে বসে আছি, তাহলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে আমাদের পিছনে ইডি-সিবিআই লেলিয়ে দেওয়া উচিত। নির্বাচন কমিশনকে জানাক। ইমামগঞ্জে (জিতন রাম মাঝির কেন্দ্র) লড়াইটা আরজেডি আর জন সূরজ পার্টির মধ্যে, এটা বুঝতে পেরেই ওঁর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে।”
প্রশান্ত কিশোর আরও বলেন, “ওঁর (জিতন রাম) কাছে রাজনীতি সবসময়ই শুধু ওঁর পরিবারকেন্দ্রিক। এদিকে নিজের গড় থেকেই তাঁর পূত্রবধূ প্রার্থী হওয়ার জন্য যুদ্ধ করছে।”